নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানগুলো আ. লীগের হাতের মধ্যে: খসরু

0 ৬৪৪

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের সাথে জড়িত যতোগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সবগুলো তাদের (আওয়ামী লীগের) হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনী আইনগুলো সহ- সংবিধান তাদের সুবিধা মত পরিবর্তন করেছে।’

বুধবার (২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বেগম খালেদা জিয়াসহ দলটির নেতা আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবুসহ সকল বিএনপির বন্দি সকল নেতাদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন সভাটির আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা সব সময় প্রশ্ন করেন, আপনারা কি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আপনাদের কি মনোনয়ন ঠিক হয়ে গেছে? আপনাদের অগ্রগতি কি হচ্ছে? তিনি বলেন, নির্বাচনটা কি? নির্বাচন হচ্ছে প্রথমত একটা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রে রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক স্পেস বা জায়গা থাকতে হবে। সেই গণতান্ত্রিক স্পেসে কি আছে আমরা সবাই জানি। আইনের শাসন, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ নাগরিকের যতো অধিকার আছে সব। সেই গণতান্ত্রিক স্পেস, রাজনৈতিক স্পেস কম্পিলটলি অনুপস্থিত। তার পরের স্পেসটা হচ্ছে ইলেক্ট্রোরাল স্পেস, অর্থাৎ নির্বাচনের জন্য কোনো জায়গা আছে কিনা? নির্বাচনের সাথে জড়িত যতোগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সবগুলো তাদের (আ. লীগের) হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনী আইনগুলোসহ সংবিধান তাদের সুবিধা মত পরিবর্তন করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পিছনে অন্তত তিনটি যিনিস আমার চোখে পড়ে, যেগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটা পথ দেখিয়েছিল। একটা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। দ্বিতীয়টা হচ্ছে একটি সংসদ বিলুপ্তি করে একটি ইন্টেরিম বা নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা। তৃতীয়টা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছিল আইন করে। এই তিনটি বিষয় তারা (আ. লীগ) আইন করে বাতিল করে দিয়েছে। এই তিনটা স্পেস ছাড়া লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে লাভ আছে? এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা উচ্চারণ করেই তো কোনো লাভ নেই।
এ সময় দেশের গণতন্ত্র আজ নাজিমুদ্দিন রোডে বন্দি রয়েছে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে যদি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকতো তাহলে মিডিয়া তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করতে পারতো। তারেক রহমান এদেশে আসতে পারতো। দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় বলে তারেক রহমান বিদেশে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, তিনি (তারেক রহমান) ১/১১তে ভারতের দালাল সরকার দ্বারা নির্বাসিত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে গেছেন। তার বিদেশে থাকা নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর এত মাথাব্যথা কেন? বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত কোথায় ছিলেন? সে সময় তো তিনি বিদেশে ছিলেন তার বিদেশে থাকা যদি সমস্যা না হয় তাহলে আজ তারেক রহমানের বিদেশে থাকায় সমস্যা কেন? সে যদি এত বছর বিদেশে থেকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে তারেক রহমান কেন পারবেন না?

এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের চরিত্র তারা সেগুলো বলে যে কাজ করে তাতে কোন সমস্যা নেই। অন্য কেউ কিছু করলে সেটাই সমস্যা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূইয়া মাসুমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সফু, অধ্যাপক ড. মো. আল মোজাদ্দেদী আল ফেসানী, গোলাম সরোয়ার, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল কাদের ভূইয়া প্রমুখ।

ব্রেকিংনিউজ/

Leave A Reply

Your email address will not be published.