পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে হত্যা

১৫৭
আটঘরিয়া(পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগর উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলম (৬৭) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ‍উঠেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তাতিবন্দ ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
আহতরা হলেন-জাহাঙ্গীরের ভাই মতি খন্দকার, একই এলাকার আরফান মোল্লার ছেলে আয়েনউদ্দিন, নজিমউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম। আহত অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
জাহাঙ্গীরের ছেলে জুবায়ের খন্দকার জানান, অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থিরা চাঁদা দাবি করে।
তিনি বলেন, ‌‘জুয়া ও চাঁদাবাজি নিয়েই এলাকার চরমপন্থি হিসেবে পরিচিত আশরাফ, জসিম মাস্টার, রাজা, সুমন, সোবহানসহ কয়েকজনের সঙ্গে বাবার বিরোধ চলছিল।
বিরোধের জেরেই আজ বেলা ১১টার দিকে তারা বাড়িতে এসে টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় বাবা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আমার চাচাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাচার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।’
তাতিবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিন মৃধা বলেন, ‘আমি বাজারে বসেছিলাম। হঠাৎ শুনি, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এ খবর শোনার ১০ মিনিটের মধ্যে শুনি, জাহাঙ্গীর মারা গেছেন। তিনি সাবেক পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন।’
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল। সেই শত্রুতার জের ধরেই আজকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখানে চরমপন্থির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments are closed.