পাবনায় উপহারের ঘর ছেড়ে দিতে হুমকি, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

১৩৪
আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গৃহহীনদের দেওয়া হলেও সেই ঘরে বসবাস করতে পারছেন না গৃহহীনরা। ‘ঘর ছেড়ে দে, না দিলে পিটিয়ে বের করে দিব’ বলে প্রতিদিনই তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী এক পরিবারের বিরুদ্ধে।
এসব নির্যাতন সইতে না পেরে বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী রবিউল শেখ, মতিয়ার, সাগর শেখ, ভানু, সাবিনা, উর্মিলাসহ কয়েকজন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের তহশিল অফিসের পাশে সরকারি খাস জায়গায় নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৬০টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ঘর যাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তারা বসবাস করতে পারছেন না।
প্রতিনিয়তই পাশের জমিওয়ালা স্থানীয় প্রভাবশালী ইসমাইল, নায়েব, ইমরান, আল-আমিন, ইসহাক গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে। এমনকি নারীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে তারা। তাদের ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলছে।
ভুক্তভোগী সাবিনা বলেন, আজ সকালে ভাত রান্না করে দুজন বসেছি খেতে। খেতেও পারিনি। এমন সময় ইসমাইল গংরা হাঁসুয়া, কাঁচি নিয়ে হামলা করে। এ সময় তারা আমার স্বামীর দাড়ি ধরে তাকে মারধর করে এবং বলে, ‘তোদের এখানে থাকতে দিব না’।
উপহারের ঘরে বসবাসকারী ভানু খাতুন বলেন, গত পরশু রাতে ওরা আমার স্বামীকে মারতে এসেছিল। বলে, ‘ঘরে ছেড়ে দে। না দিলে পিটিয়ে বের করে দিব।’ আমরা এখন খুব ভয়ে আছি।
রবিউল শেখ বলেন, যে খাস জায়গায় সরকার আমাদের ঘর করে দিয়েছে, ওই জায়গা জোর করে ভোগদখল করত স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত আকু প্রামাণিকের ছেলে ও নাতিরা। এখন সরকার আমাদের দিয়ে দিয়েছে কিন্তু তারা আমাদের বসবাস করতে দেবে না। ঘরে ছেড়ে চলে যেতে বলে। আমরা এখন কী করব।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, উপহারের ঘরে থাকতে না দেওয়া ও উপকারভোগীদের মারধর করার বিষয়টি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সদর থানায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান ইউএনও।

Comments are closed.