পাবনায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্থিরচিত্রে সৌন্দর্য বর্ধন হলো

১৫১
আটঘরিয়া ( পাবনা) প্রতিনিধি: ‘“কামালের মা আজ মুরগীর ঝোল রান্না করেছে আয় একসাথে খাব” বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের রুপকার স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কতটা মানবিক ও আন্তরিক ছিলেন সেটি আরো একবার তুলে ধরা হলো এই ছবির মাধ্যমে।
 শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ‘পুলিশের বন্ধুর বঙ্গবন্ধু’ নামে এই স্থিরচিত্রের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল মতিন খান প্রমুখ।
১৯৭২ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে নিয়োজিত এক পুলিশ সদ্যকে আদর করে হাত ধরে ডেকে নিচ্ছেন খাওয়ার জন্য। পুলিশের সঙ্গে এই মহামানবের যে কতটা আন্তরিক সম্পর্ক ছিলো সেটি আরো একবার মনে করিয়ে দেয়া হলো এই স্থিরচিত্রের মাধ্যমে। পুলিশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বিভিন্ন মুহুর্তের নানা স্থিরচিত্র নিয়ে পাবনা জেলা পুলিশের কার্যালয়ে শৈল্পিক ও নান্দনিক সৌন্দযর্ বর্ধন শোভা পেয়েছে প্রায় ৩৩ টি স্থিরচিত্র।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালেয়র প্রবেশ মুখের করিডরের দেয়াল ও উপরে উঠার সিঁড়িতে টানানো হয়েছে এই ছবি গুলো। মূল ছবিতে নিজ বাসভবনের লুঙ্গি পরা বঙ্গবন্ধু আদর করে খাওয়ার জন্য ডেকে নিচ্ছেন তার নিরাপত্তার কাজে থাকা এক পুলিশ সদস্যকে। নিরঅহংকার সাদা মনের সাহসী এই মহান নেতা কতটা মানবিক ছিলেন সেটি আমাদের সকলেরই জানা।
এই মহামানবের সঙ্গে পুলিশের ঐতিহাসিক নানা মুহুর্তের বেশ কিছু স্থিরচিত্র আগামী প্রজন্মের পুলিশ সদস্য ও জেলা প্রলিশ সুপার কার্যালয়ে আগত সকলেই এক নজরে দেখতে পাবেন।
প্রবেশ মুখের মূল দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও এক পুলিশ সদস্যের সেই সময়ের সংগৃহীত ছবি বড় করে দেখানো হয়েছে। পাশে একই ফ্রেমে আরো ২১টি ছবি রয়েছে। প্রতিটি ছবির নিচে সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
দেয়ালের আরেক প্রান্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ জুনুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রথম পুলিশ সপ্তাহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ তুলে ধরা হয়েছে। এ যেন সংক্ষিপ্ত পুলিশের ইতিহাস সমৃদ্ধ ছোট জাদুঘর। একনজরে ইতিহাসকে জানা ও বাংলাদেশকে ধারণ করার এক দারুণ প্রয়াস।

Comments are closed.