পাবনা জেলা পরিষদে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ স ম আব্দুর রহিম পাকন

১১৭
মাসুদ রানা,  আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনাসহ দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দল সমর্থিত প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় এসব প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় পাবনা থেকে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেনে বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আ স ম আব্দুর রহিম পাকন।
ইতিমধ্যে পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান প্রশাসক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল এই জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এবারে জেলা পরিষদের নির্বাচনে রেজাউল রহিম লালসহ মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কমপক্ষে ৮ নেতার নাম ছিল। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মো. শহিদুল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদ আলী বিশ্বাস ভুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর মেয়ে মাহজেবিন শিরিন পিয়া।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনাসহ অন্যান্য জেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- পঞ্চগড় জেলা পরিষদে আবু তোয়াবুর রহমান, ঠাকুরগাঁও সাদেক কোরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মমতাজুল হক, লালমনিরহাট মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ, কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী, গাইবান্ধায় আবু বকর সিদ্দিক।
জয়পুরহাটে খাজা শামসুল আলম, বগুড়ায় মকবুল হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রুহুল আমিন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনায় আ স ম আব্দুর রহিম পাকন। মেহেরপুরে আবদুস সালাম, কুষ্টিয়ায় সদর উদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, ঝিনাইদহ কনক কান্তি দাস, যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পঙ্কজ কুন্ডু, নড়াইলে সুভাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ।
বরগুনায় জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু,বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠিতে খান সাইফুল্লাহ পনির, পিরোজপুরে সালমা রহমান।
টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, জামালপুরে মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, ময়মনসিংহে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, নেত্রকোনায় অজিত কুমার সরকার, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দিন, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আবদুল মতিন ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ কে এম শফিকুল মোরশেদ, ফরিদপুরে ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জ মুন্সি আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরিয়তপুরে ছাবেদুর রহমান।
সুনামগঞ্জে খায়রুল কবির রুমেন, সিলেটে নাসির উদ্দিন খান, মৌলভীবাজার মিছবাহুর রহমান, হবিগঞ্জে মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুর ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম এবং কক্সবাজার মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশন গত ২৩ আগস্ট পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Comments are closed.