পুঠিয়ার নন্দনপুর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর অন্যথায় মারধরের অভিযোগ

0 ১৭৯

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সাদা কাগজে জোরপুর্বক স্বাক্ষর গ্রাহণ এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
নাম না প্রকাশের শর্তে শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার সকালে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হয়। সকাল ১১ টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকা অবস্থায় বাহির থেকে আসা মেহেদী আর সাব্বির এই দুই জন যুবক এসে শিক্ষার্থীদের হাতে সাদা কাগজ দিয়ে নাম ও শ্রেণী লেখতে বলে। এর মধ্যে দশম শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করে। এরপর শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। সে সময় মাঠের ভিতরে সেই দুইজন যুবক অর্তকিত ভাবে শিক্ষার্থী আরাফাত, শান্ত ও রক্তিম সহ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের মারধর করে। সেই সময় সহকারী শিক্ষক মোজ্জাম্মেল হক ও সহকারী শিক্ষক মোছাঃ গঞ্জেরা বেগম দেখেও শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে আসেনি। এই বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সহকারী শিক্ষক মোছাঃ গঞ্জেরা বেগম জানান, আমি ঘরের ভেতরে ছিলাম। দেখলাম বাচ্চারা ছুটাছুটি করছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মানববন্ধান হয়েছে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
স্কুলে থাকা সহকারী শিক্ষক মোজ্জাম্মেল হক জানান, শুনেছি মানববন্ধনের জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সহি নিয়েছে। তবে আজকে বাহিরের ছেলে এসে আমাদের ছাত্রকে মেরেছে। তাই নিয়ে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সব থেমে যায়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। প্রধান শিক্ষককে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ এস এম মনোয়ার হোসেন জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে একটি কুচক্রি মহল ৫ তারিখে স্কুলের অফিস রুম ভাংচুর, আমার ব্যক্তিগত অফিস ও বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপর সরকার কর্তৃক স্কুল খোলার নির্দেশ দিলে ৬ তারিখে শিক্ষদের স্কুলে প্রবেশ করেতে দেয়নি। ৭ তারিখে স্কুলে কয়েকজন শিক্ষক আসলে তাদেরকে অফিসরুমে আটকে রেখে ৪ জন শিক্ষকের নিকট থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র সহি করে নেন। খবর পেয়ে বাঁকি ৩ জন শিক্ষক ও ১ জন পিওন রাস্তা থেকে আতœরক্ষার্থে ফিরে যায়। এই কারনে কয়েক জন শিক্ষক ও অনেকে শিক্ষার্থী ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের ভূল বুঝিয়ে মানববন্ধন করিয়েছে তারা। আজকে বাহিরে লোক গিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে। বিষয়টি আমি শুনার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ প্রশাসনকে জানিয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর হোসেন নির্ঝর জানান, সেই স্কুলের শিক্ষক আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। তাদেরকে আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.