পুঠিয়ার আশ্রয়ন প্রকল্পের তালুকদার গ্রামে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ

১৭৮

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি : মুজিব বর্ষে গৃহহীন দের জন্য সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের রাজশাহীর পুঠিয়ার পূর্ব বারইপাড়া তালুকদারগ্রামে সাংবাদিক প্রবেশ করা যাবেনা। আর যদিও কোন সাংবাদিক যায় তাহলে সেই এলাকার ইউপি সদস্যের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। আর তা না হলে সেই আশ্রয়ন প্রকল্পের যেই পরিবারের মেম্বারের সাথে দন্ধ আছে সেই পরিবারের উপর নেমে আসবে অমানসিক নির্যাতন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বারইপাড়া তালুকদারগ্রামে সাংবাদিকরা যায়। অভিযোগ পায়, সেখানে মুজিব বর্ষে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫ নং ঘরে মানসিক রোগী জোবায়ের হোসেন ও তার স্ত্রী মমতা বেগম এবং তার শিশু সন্তান ১ বছরের বেশি সময় থেকে সেই ঘরে বসবাস করে।

বর্তমানে ইউপি সদস্য মিলন ও তার সহযোগ এক মহিলা ও দুই জন পুরুষ মিলে মমতা বেগমের পরিবারকে নামিয়ে দিয়ে কাগজপত্র বিহীন জেবা বেগম নামের এক পরিবারকে সেই ঘরে তুলে দিবে। এই জন্য জেবা সেই ঘরে থাকার জন্য চৌকি সহ জিনিসপত্র নিয়ে এসে রেখেছে। আর ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য মমতাকে মেম্বার সহ কয়েকজন চাপ প্রয়োগ করছে।

সেই সময় সাংবাদিকরা সেই এলাকার ইউপি সদস্য মিলন এর নিকট জনার জন্য মোবাইল ফোনে ফোন দিলে মেম্বার সেই স্থানে চলে আসে। এরপর সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করে আপনাকে কে আসতে বলেছে, বলেন। সেই কথাটি কয়েকবার জিজ্ঞাসা করেন সেই মেম্বার। আরো জানা যায়, সেখান থেকে সাংবাদিকরা ফিরে আসলে সেই পরিবারে উপর নেমে আসে অমানসিক চাপ। তুই কেন সাংবাদিককে ডেকেছিস, এখানে আমরা যা করবো তাই হবে, সাংবাদিকরা এসে তোর কি করে দিবে।

শুক্রবার (৮ জুলাই) উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আরাফাত আমান আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শনিবার (৯ জুলাই) সেখনে আবার সাংবাদিকরা ঘুরে আসার পর। সেইদিন গোয়েন্দা পুলিশের একজন সদস্য গিয়ে খোজ খবর নিয়ে আসেন। এরপর সেই আশ্রয়ন প্রকল্পের মেম্বারের ঘনিষ্ট এক মহিলা। যে মহিলার আতংকে সেই গ্রামের কেউ কথা বলার সাহস পায়না। সেই মেয়ে মমতার ঘরের সামনে গিয়ে ঝগড়া শুরু করে।

পুঠিয়া ইউনিয়নের মেম্বার মিলন বলেন, তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা তালুকদার গ্রামে যায়। এ সময় সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিত দেখে মেম্বার মিলন সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করে আপনাদেরকে কে আসতে বলেছে। আপনারা এখানে কেনো আসবেন। ইউএনও স্যার আমাকে বলেছে মমতাকে ঘর ছেড়ে দিতে হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম কে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ছুটিতে আছি নেটওয়ার্কের সমস্য পরে কথা বলবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ ছুটিতে থাকার কারণে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি আরাফাত আমান আজিজ কে সরকারী মোবাইল ফোনে না পাওয়ায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Comments are closed.