পুঠিয়ার বেলনাতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরে মাটি ভরাটের নামে শুভঙ্করের ফাঁকির অভিযোগ

৯১৯

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ার বেলনাতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরে মাটি ভরাটের নামে শুভঙ্করের ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ্য ভাবে পুকুর খনন করা হলো, তাও আবার সরকারী টাকায়। একই ডিলে দুই পাখি মারার মত।

আবার সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ব্যবহার করে পুকুর খনন ও ভরাট কাজ শেষ করছে। কিন্তু আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরটি সম্পন্ন ভরাট করেনি। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এমন ঘটনায় ঘটছে এই পুঠিয়া উপজেলায়। যা দেখার কেউ নাই।

জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের বেলনাতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরে মাটি ভরাটের জন্য টিআর প্রকল্প থেকে নগদ অর্থ ৩ লক্ষ টাকা এবং সাড়ে ৮ টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। চাউলের আনুমানিক দাম ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। সবমিলে প্রায় ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

নগদ টাকার কাজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইউপি সদস্য মাসুদুল হাসান মিলন কে এবং চাউলের কাজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনকে। কিন্তু তারা শুধু কাগজে কলমেই সভাপতি। নগত টাকা এবং চাউল বিক্রির টাকা চেয়ারম্যান নিয়ে তিনিই ইচ্ছে মত একই ইউনিয়নের খামারপাড়ার পুকুর খননকারী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা চুক্তি করে মাটি ভরাট করে নেন। সেই কাজে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ব্যবহার করে পুকুর খনন ও ভরাট কাজ শেষ করছে। কিন্তু আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরটি সম্পন্ন ভরাট করেনি। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ইউপি সদস্য মাসুদুল হাসান মিলন জানান, আমি এক কিস্তির টাকা তুলে চেয়ারম্যানকে দিয়ে চিল্লায় এসেছি। আর কাজটি চেয়ারম্যান দেখাশুনা করছে।

ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন জানান, আমি কাগজে কলমে সভাপতি। টাকা তুলে এনে চেয়ারম্যানকে দিয়েছি। চেয়ারম্যান সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে এবং টাকা খরচ করছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। চেয়ারম্যান আমাকে বলেছে, এই কাজের সব দায় দায়িত্ব আমার তাই সবকিছু আমিই করবো।

ভরাটকারী ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভালুকগাছী ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা চুক্তিতে বেলনাতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরে মাটি ভরাট করতে বলে। এরমধ্যে আমাকে ৮০ হাজার টাকা দেয়। আর বাকিঁ রাখে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। সেই কাজ সম্পন্ন করার পরও আজ কাল করে টাকা গুলো দিচ্ছেনা। সামনে ঈদ ট্রাক্টর আলাদের ভাড়া দিতে পারি নাই। আমি খুব বিপদে আছি।

ভালুকগাছী ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসানের মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি বলেন এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, সেই কাজের জন্য ১ কিস্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে ইউএনও স্যার সেখানে গিয়েছিলে, আরো মাটি দিয়ে পুরোপুরি ভরাট করার কথা বলেছেন। সেই কাজ সম্পন্ন না করা পর্যন্ত পরবর্তী বিল পাবে না।

Comments are closed.