পুঠিয়ায় স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে এক নববধূর অনশন

৯৬

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:  রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বরে স্বামীর কাছে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেছে এক নববিবাহিত তরুণী। বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিকেল থেকে অনশন শুরু করেন তিনি।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নামাজ গ্রাম হাজীপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে আহসান হাবীব (২৭) কে এলাকার সোনিয়া (২৫) চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তারা গোপনে বিবাহ করে। বাড়িতে জানাজানি হবার পর থেকে আহসান হাবীব নববিবাহিত তরুণী সোনিয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

সোনিয়া জানান, আমার কাছে বিয়ের কাগজ পত্র আছে এমনকি কাজির কাছে আছে ও কোটেও আমাদের বিয়ের কগজপত্র আছে। এবং আমাদের বিয়ের সাক্ষী আছে ছয় জন। আর কাজী তো বিয়ের দায় ভার নিবে না। আমাদের যখন বিয়ে হয় তখন পুঠিয়াতে আমার একটা সরকারী ভাবে ট্রেনিং চলে। আর ও এখান থেকে যাবার পরে ট্রেনিং অফিস থেকে আমাকে নিয়ে যায় এবং দুজনের সিধান্তে এই বিয়েটা হয়। যেদিন বাসায় জানাজানি হয় সেদিন এর পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে। এখন কেন যোগাযোগ বন্ধ করেছে আমি সঠিক জানিনা এর পরে আজ পর্যন্ত আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। আজকে প্রায় ছয়, সাত দিন হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে আজ আমি এখানে আসছি। আমি আমার স্বামীর বাড়িতে আসছি। ও আমাকে নিয়ে আসার কোন ব্যবস্থা করছে না তাই আমি বাধ্য হয়ে এখানে আসছি। ও আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছে । ওর বাসা থেকে মেম্বারের সাথে বসার কোন আয়োজন করছে না। আমি মেম্বারের কাছে খোজ খবর নিছি আজ না কাল না পরশু এভাবে তো সময় দেওয়া যায় না অনেক কয়দিন চলে গেছে এভাবে যার কারণে বাধ্য হয়ে আজকে আমি আসছি। আমার যে সমাধানই দিক আমার এখানে থাকাকালীন সমাধান দিতে হবে।

এদিকে আহসান হাবীবের পিতা-মাতা  বলেন, আমার ছেলেকে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে, সোনিয়া নিয়ে গিয়ে ব্যাকমেইল করে বিয়ে করেছে। কিছু লোক সিন্ডিকেট করে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

Comments are closed.