পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়মের আখড়া

0 ৫৯৯
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় জনগণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার উদাসিনতা কে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
ডাক্তারের উপস্থিতি না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছে অনেক রোগীরা। জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন ডাক্তার কর্মরত আছে। এর মধ্যে ৭ টি সাব-কেন্দ্রে ৭ জন ডাক্তার আর ১৬ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব পালন করেন।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ইন ডোরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুনজুর রহমান, জরুরী বিভাগে ডাঃ শামসুল আলম (২৪ ঘন্টা), ইনডোরে ডাঃ রওনক আফরোজ এবং বর্হির বিভাগে মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও ডাঃ ইমরুল বাহার এবং জুনিয়ার কনঃ (অর্থো-সার্জরী) ডাঃ সাঈদ আহম্মেদ এই ৩ জন ডাক্তার ডিউটিতে ছিলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমা আক্তার ৩ দিনের ছুটিতে থাকায় তিনি আসেন নি। কিন্ত আর বাকি ডাক্তাররা হাসপাতালে আসেননি। ডাক্তাররা ইচ্ছে মত অফিস করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জুনিয়ার কনঃ (গাইনী) ডাঃ ফারজানা নাজনীন আজ শনিবার এবং গত বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে আসেনি বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে সাংবাদিকের দুপুর ১টা ২০ মিনিটি গিয়ে দেখতে পায় ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তার রুমে বসে আসে। আর বাঁকি সব ডাক্তারের রুম বন্ধ।
এরপর দেখা যায় ডাঃ সাঈদ আহম্মেদ তার রুম খুলে বসে আছে।
সে সাংবাদিকদের উপস্থিত দেখতে পেয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া বাদ রেখে তার মোবাইল ফোন দিয়ে সাংবাদিকের ছবি তোলতে থাকে। এরপর গাইনী ডাক্তারের আউট সোসসিং পিয়ন বিথী রানী কে দিয়ে মোবাইলে ছবি তোলাতে থাকে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি ৩ দিনের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। আমি রোষ্টার দেখার পর বিস্তারিত বলতে পারবো।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি রুমানা আফরোজ বলেন, আমি অতিরিক্তি দায়িত্বে আছি। বিষয়টি আমি স্যারকে জানাবো। আর বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে পরিবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.