পুঠিয়া পৌরসভা এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রিয় তালিকা করণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

২১৩

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রিয় তালিকা করণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা সদরে পৌর এলাকার রাজবাড়ী বাজারে টিসিবি বিক্রয় কার্যক্রমের মধ্যে পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে এই অভিযোগ উঠেছে। পুঠিয়া পৌরসভা এলাকায় ২৫ শত ৩ টি ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য, তেল, চিনি, ডাল বিক্রয় করা হচ্ছে।

পুঠিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ক্রেতারা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্ড তৈরি জন্য আমাদের নিকট থেকে একশত টাকা নিয়েছে। পুঠিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ক্রেতারা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্ড তৈরি জন্য আমাদের নিকট থেকে ত্রিশ টাকা নিয়েছে। পুঠিয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ক্রেতারা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্ড তৈরি জন্য আমাদের নিকট থেকে আশি টাকা নিয়েছে। পুঠিয়া পৌরসভার সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের ক্রেতারা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, এই ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর কার্ড তৈরি জন্য আমাদের নিকট থেকে ত্রিশ টাকা নিয়েছে।

পুঠিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকুল হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবু, ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম রুহুল এবং মহিলা কাউন্সিল মোছাঃ আইরিন পারভিন দায়িত্বে রয়েছে।

জানা গেছে, সারা দেশের মতো ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রিয় কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে চলমান রয়েছে। ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ মাধ্যমে একটি পরিবার প্রথম পর্যায়ে ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাউল ও ২ লিটার তেল ক্রয় করছেন। দাম পড়ছে প্রতি লিটার তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা ও প্রতি কেজি মসুরের ডাল ৬৫ টাকা। এই পণ্যের দাম মোট ৪৬০ টাকা।

এই কার্যক্রম প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এতে চিনি, ডাল ও তেল বিক্রি করা হবে।

আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এসব পণ্যের সথে ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর যুক্ত করে বিক্রি করা হবে।

৪ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মুকুল বলেন, কোন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। কেউ যদি বলে থাকে তা মিথ্য কথা বলেছে।

টিসিবির পণ্য বিক্রেতা মেসার্স খান ট্রের্ডাস এর প্রোঃ মকলেছুর রহমান জানান, আমরা পণ্য বিক্রয় করতে এসেছি। পণ্যের দাম ব্যতিত কোন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে না। এর বাহিরে কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে তাহলে সেই বিষয়টি আমার জানা নাই।

পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ আল মামুন বলেন, আমি মিটিং করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে নিষেধ করেছি। আর যদি কোন কাউন্সিলর টাকা নিয়ে থাকে এর দায় দায়িত্ব তার। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments are closed.