পুঠিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী সেলিমকে নিয়ে যত কান্ড

0 ৪৮৫

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্য সহকারী সেলিমকে নিয়ে যত কান্ড। তিনি ৮ বছর থেকে চাকুরীতে কর্মরত থাকলেও সম্প্রতি হাসপাতালে কিছু অসাধু কর্মকর্তার মদদে সেলিমকে কাগজে কলমে নিয়িমিত বলে জানা গেছে।

 

কিন্তু তার অফিসে এবং কর্মরত এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, তার নামই কেই জানেন না। তাহলে তাকে চিনবে কি করে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এলাকাবাসী।

 

স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান, আমি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দুই বছর থেকে কর্মরত আছি। সম্প্রতি আমি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ দায়িত্ব পালন করছি। স্বাস্থ্য সহকারী সেলিম বানেশ্বর ইউনিয়নের হাতিনাদা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় কাজ করেন।

 

ইতিপূর্বে সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, সেলিম ঠিকমত অফিসে না আসায় আমরা তাকে বার বার মৌখিক ভাবে অবগত করি। এর প্রেক্ষিতে মে মাসে ৫ তারিখে চিঠির মাধ্যেমে তাকে জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সম্প্রতি হাসপাতালে কিছু অসাধু কর্মকর্তার মদদে সেলিমকে কাগজে কলমে নিয়িমিত দেখানো হয়েছে।

 

বানেশ্বর ৫ নং ওয়ার্ড (সাবেক ২) হাতিনাদা কমিউিনিটি সেন্টারের সিএইচসিপি রওশনারা জানান, আমি ২০১১ সাল থেকে এখানে কর্মরত আছি। এ সময় এই কেন্দ্র স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন প্রদুৎ কুমার সরকার। তিনি অবসরে গেছেন। বর্তমানে ইয়াসিন আলী কর্মরত আছেন। সেলিম নামের কোন স্বাস্থ্য সহকারীকে আমি চিনি না বা কখনো সে এই কমিউনিটি সেন্টারে আসেও নাই।

 

হাতিনাদা কমিউিনিটি সেন্টার এলাকার জনগণ জানান, সেলিম নামের কাউকে আমরা চিনি না। আমাদের টিকা দিতো প্রদুৎ কুমার সরকার আর এখন দেয় ইয়াসিন আলী।

 

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ হাকিম জানান, সেলিম নামের কোন স্বাস্থ্য সহকারীকে এই কমিউনিটি সেন্টারে আসেনি, তাহলে তাকে চিনবো কি করে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.