পোষ্য কোটা ইসুতে রাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

১৩৯
রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারই অংশ হিসেবে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলকের সামনের নিচুতলায় অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম। কিন্তু কিছু কিছু বিভাগ নিজ উদ্যোগে নিচ্ছেন ক্লাস-পরীক্ষা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে তারা অবস্থান নেন। তবে কোনো শিক্ষককে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি।
কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দাবি, গতকাল যারা শিক্ষকের গায়ে হাত দিয়েছে তাদেরকে আজকের মধ্যেই বহিষ্কার করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তারা।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, গতকালকে ছাত্র নামধারী কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত হয়েছে। এমনি তাকে বাসাতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে।
এই আন্দোলন রাকসুতে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাকসুতে এই আন্দোলন কোনো প্রভাব ফেলবে না। রাকসুকে আমরা আমাদের কর্মসূচির বাহিরে রেখেছি।
এসময় অফিসার্স সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, গতকালকের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। যারা বহিরাগত তাদেরকে আনইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি শাস্তি নিশ্চিত করা না হয় আগামীকাল থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কিছু শার্টডাউন করে দিব।
এর আগে গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সহ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম। সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীও কর্মবিরতিতে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।