প্রতারণার ফাদেঁ কুড়িগ্রামের রৌমারীর প্রবাসীরা শোধের টাকা পরিশোধ করতে বিপাকে পরিবার

১,০৫০

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার অনেক প্রবাসী বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রে দালাল চক্রের প্রতারণার ফাদেঁ পরে সর্বশান্ত হয়েছে। এসব ঘটনার অভিযোগ দেশের বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। বিভিন্ন দালাল চক্রের প্রতারণার ফাদেঁ ফেলেছে উপজেলার কয়েকশো প্রবাসী যার কোন বিচার নেই। এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে এইটা আমাদের কাজ নয়।

আবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে গেলে আমি কি করবো জনপ্রতিনিধিরা বলেন, কিছু বললেই ভোট দেবে না নির্বাচন আসলে এই ভয়ে কিছুই বলেনা। এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করবে কে এমন প্রশ্নের জবাব কে দেবে। রৌমারী সদর ইউনিয়নের সিমান্তঘেষা বড়াইবাড়ী গ্রামের ভুক্তভোগী বিদেশ প্রতারুকের ফাদেঁ প্রবাসী নরুন্নবী এর স্ত্রী দেলোয়ারা, কান্নাজড়িত ভাষায়, অভিযোগ করে বলেন একই গ্রামের দালাল আমজাদ আলী ও দালাল হাছেন আলী, আমার স্বামীরে ভালো কাজ দিবো কইয়া বিদেশ নিছে এহেন আর কাজ দেয়না।

দেলোয়ারা আরও জানায় আমার স্বামী একজন দিনমুজড়ে কাজ কইরা সংসার চালাইতো। এহেন আমার ৪ জন নাবালক মেয়াগর খরচা দিবার পারিনা এবং সময়মতো খাবার দিবার পারতাছিনা। ওইদারে বিদেশেও কোন কাজ দেয়না, এদারে মানসের কাছে শোধের উপর টেহা নিয়া বিদেশ গেছে এহেন মানসেরে কি দিমু আর নিজে পোলাপানগড় কি খাওয়ামু এনিয়াই সারা রাত ঘুম হয়না। আমার স্বামী নরুন্নবী ৫ লাখ টাকা শোধের উপর নিয়ে ৭ মাস ধইরা বিদেশ গেছে।

এই টাকা আমার দেওয়ার উপায় নাই আমি সরকারের কাছে এসব দালাল চক্রের বিচার চাই। প্রবাসী নরুনবীর মেয়ে নুরজাহান খাতুন নবম শ্রেনীতে পরাশোনা করেন ওই শির্ক্ষাথীর অভিযোগ আমার বাবা বাড়িতে থাকলে অন্যের কাজ করেও আমার পরাশোনার খরচ চালাইতো এদিকে আমার ভাই নাই ৪ জন বোন আমাদের খরচ চালাইবো কে, এই কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরতে দেখা গেছে, প্রবাসীদের পরিবারের কি অবস্থা।

প্রবাসীর মেয়ে নুরজাহান সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। প্রবাসী নরুনবীর বাবা তমছের আলী (৮০) কান্না জড়িত ভাষায় সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়ে প্রতারকের বিচার দাবী করেন। এবিষয় প্রতিবেশি আলী আকবর জানান আমজাদ আলী, ও হাছেন আলীসহ এই দুইজন মানুষ পাচার চক্রের সদস্য যার ফলে রৌমারীর অনেক মানুষকে প্রতারণার ফাদেঁ ফেলে বিভিন্ন দেশে পারি জমিয়ে ৫-থেকে ৬ লাখ করে টাকা নিয়ে হাওয়ার মতো উইড়া বেরাইতাছে কোন বিচার নাই। একই এলাকার সচেতন ব্যাক্তি ডাঃ লাল মিয়া বলেন এই দালাল আমজাদ আলী, হাছেন আলীসহ রৌমারীর কতো মানুষকে প্রতারণার ফাদেঁ ফেলে প্রতারণা করে ধরাছোয়ার বাইড়ে থেকে যাচ্ছে এর কোনই বিচার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা আমি এই দালালদের শাস্তি চাই।

প্রবাসিদের বরাত দিয়ে বিদেশে যাওয়ার চিত্র গুলো হচ্ছে, প্রবাসীদের জীবনে একটি অভিশাপের নাম প্রতারণার ফাদঁ। কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হয়নি এমন প্রবাসী খুবই কম। বাংলাদেশের দালালদের হাতে কয়েক দফা প্রতারিত হতে হয় প্রবাসে যাওয়া প্রবাসীদের। বিদেশে পৌঁছার পর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে প্রবাসীদের আইডি কার্ড বা রেসিডেন্ট কার্ড দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ও বিদেশে যাওয়ার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। তবে পার্থক্য হলো, বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন রোগের কথা উত্থাপন করে টাকার বিনিময়ে তা গোপনের কথা বলা হয়। বিদেশে ডাক্তারি পরীক্ষায় সেসব রোগের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে দালাল আমজাদ আলী বড়াইবাবাড়ী গ্রামের মৃত্যু মেহের আলীর পুত্র, আমজাদ আলী, একই গ্রামের বছির আলীর ছেলে হাছেন আলী বলে জানা গেছে। বিষয়ে এলাকার গন্যমান্যরা শালিস দরবার করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান ওয়ার্ড মেম্বর, ফিরোজ, ডাঃ হজরত আলী, মেম্বর রুহুল আমীন, সাবেক এমপি রুহুল আমীনসহ অনেকেই দালালদের বিষয় নিয়ে শালিস করেও মিমাংসা করতে পানেনি।

বড়াইবাড়ী ভুক্তভোগিরা হলেন নরুন্নবী, বারবান্দা গ্রামের মিঠু মিয়া, ইজলামারী গ্রামের রুহুল আমীন, আমজাদ ও হাছেন আলী প্রবাসী দালাল এদের সঙ্গে মোঠ ফোনের এই নম্বরে ০১৯৩৪২৩৮৪৭৯ যোগাযোগ করা চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন আমি বিষয়টি দেখবো।

Comments are closed.