ফুলবাড়ীতে নেই সাংবাদিকদের সুরক্ষা পোষাক ঝুঁকি নিয়েই সংবাদ সংগ্রহ

0 ২৬৪

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস মোবাবিলায় নেই কোন সুরক্ষা পোষাক। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সংবাদকর্মীরা।

সরকারি নির্দেশনা রয়েছে ঘরে থাকার। কিন্তু সংবাদকর্মীরা ঘরে বসে থাকলে দেশবাসী ফুলবাড়ীর সার্বিক চিত্র জানবেন কিভাবে? আর যাই হোক ফুলবাড়ীর সার্বিক খবরাখবর দেশবাসীকে জানাতে জীবানের ঝুঁকি নিয়েই মাঠেই রয়েছেন সংবাদকর্মীরা। কিন্তু তাদের নিরাপত্তার কথা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ কারো মাথায় নেই। যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই ছুঁটছেন মাঠে-ঘাটে, শহর-গ্রামে সংবাদ সংগ্রহ করতে।

ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি চন্দ্রনাথ গুপ্ত বলেন, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকরা উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই স্থানীয় সংবাদ বিশেষ করে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহ এবং স্ব-স্ব গণমাধ্যমে সংবাদগুলো প্রেরণ করছেন। তবে যে যেভাবে পারছেন নিজেদেরকে সুরক্ষায় থাকার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত গণমাধ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সরকারি কিংবা বেসরকারীভাবে কেউই এগিয়ে আসেনি। এগিয়ে আসেননি স্ব-স্ব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও। তবে দ্রুত সংবাদকর্মীদের জন্য পিপিই সরবরাহ করা প্রয়োজন।

ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতা প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু বলেন, সাংবাদিকরা প্রতি দুর্যোগের সময় দেশের স্বার্থে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদপ্রচার করেন। করোনা ছোঁয়াচে ভাইরাস সেটিকেও উপেক্ষা করে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে যাচ্ছেন এবং সংবাদ প্রচার করছেন। তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মিডিয়া হাউসগুলোর উচিত নিজ নিজ প্রতিনিধিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পিপিই সরবরাহ করা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সরকারিভাবে কোন প্রকার পিপিই সরবরাহ আসেনি। তবে স্থানীয়ভাবে এর ব্যবস্থা করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

 

ফুলবাড়ীতে বাড়ছে জনসমাগম বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বৈশিক করোনাভাইরাস সংক্রমিতরোধে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, স্বাস্থ্যবিভাগ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, থানা পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে জনগণকে বাড়ি থেকে বের না হতে বলা হলেও হাট-বাজারগুলোতে বাড়ছে জনসমাগম।

গতকাল রবিবার পৌরবাজারসহ আশপাশের গ্রাম-গঞ্জের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা রয়েছে মাছ-মাংস, মুরগি, মুদিখানাসহ বিভিন্ন সবজি দোকান। সেগুলোতে অহেতুক জমছে ভিড়। কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন। আবার কেউ বাহিরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে পারে জেনেও অসচেতন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। প্রশাসন থেকে মাইকিং করে ঘরে থাকতে বললেও এই নিদের্শনা অনেকাংশেই উপেক্ষিত হচ্ছে।

বাজার করতে আসা শহিদুল ইসলাম, মিলন সাহা বলেন, বাসায় খরচ নেই, তাই কাঁচা শাক-সবজি ও কিছু ময়মসল্লা কিনতে বাজারে এসেছেন। বাজারে অনেকে অহেতুক ঘোরাফেরাসহ আড্ড মারছেন লোকজন। সকালে মাছ হাটিতে যে মেলা বসছে মানুষের। কোনভাবেই সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না জনসমাগম।

মুদি দোকানদার সুশিল পাল, শাকিল ইসলাম বলেন, দোকানে কাউকে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না। যার যা লাগছে কিনেই সাথে সাথে চলে যাচ্ছেন। তবে পথে পথে কিছু লোকজন ঘোরাফেরা করছেন। তারা কিছুই কিনছেন না।

কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ, মমতাজ উদ্দিন বলেন, কাঁচাবাজার করতে বহু লোকজন আসছেন। তাদের কারণে কিছুটা জনসমাগম ঘটছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনানুযায়ী ভিড় জমতে দেওয়া হচ্ছে না। একে একে বাজার খবর করে ফিরে যাচ্ছেন।

রিকশা-ভ্যান চালক কাশেম আলী, শফিক, রবি রায় বলেন, বাসায় বসে থাকলে খাবো কি? পেটের দায়ে বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে। তবে লোকজন বাজারে থাকায় ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসন, সেনা সদস্য, থানা পুলিশসহ জনপ্রতিনিধিরা জনসমাগম ঠেকাতে কাজ করছেন। তবে অহেতুক কেউ জনসমাগম ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.