বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকের এক উপশাখায় গভীর রাতে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা নিয়ে গেছে চোরের দল। বুধবার (১২ জুন) রাতের যেকোনো সময় বগুড়া শহরতলীর মাটিডালী বিমানমোড়ে ব্যাংকের উপশাখায় চুরির ঘটনা ঘটায়। এই ব্যাংকে ম্যানেজারসহ ২কর্মকর্তা আর দুই কর্মচারী মিলে চারজন এখানে কর্মরত। তবে এখানে ব্যাংকের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ।
জানা যায়, শহরেরর মাটিডালী বিমান মোড়ে এক ভবনের দোতলায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপ শাখার কার্যক্রম চলে। বুধবার(১২ জুন) রাতের যে কোনো সময় ছাদের সিঁড়ি ঘরের তালা ভেঙে ভবনে প্রবেশ করে চোরের দল। এরপর দরজার তালা ভেঙে ব্যাংকের ভিতরে যায়। পরে ব্যাংকে রাখা সিন্দুক ভেঙে সমুদয় টাকা নিয়ে আবারো সিঁড়ি ঘর দিয়ে পালিয়ে যায়।
ব্যাংকের উপশাখার ম্যানেজার ফাহমিদা ফিরোজ জানান, বুধবার ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করে সিন্দুকে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা রেখে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংকে এসে সিন্দুক ভাঙা দেখে চুরির বিষয়টি নজরে আসে।
ব্যাংকের উপশাখার ম্যানেজার ফাহমিদা ফিরোজ আরও বলেন, উপশাখায় চার জন কর্মকর্তা- কর্মচারিকর্মরত আছেন। এখানে কোনো নৈশ প্রহরী ছিল না। ব্যাংকে কোনো সিসি ক্যামেরাও নেই। তাদের উপশখাটি বীমাকৃত। কোনো টাকা খোয়া গেলে বীমা কোম্পানি সমুদয় টাকা পরিশোধ করবে। একারণে তারা নৈশ প্রহরী রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। এই উপশাখায় ৪৭ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। পূর্বে কখনও এমন সমস্যা হয়নি।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, ব্যাংকটিতে কোনো নিরাপত্তা প্রহরি নাই। ঘটনার দিন বিকেলে ব্যাংকে কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম শেষ করে চলে যান। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে এসে তারা ব্যাংকের সিন্দুকটি কাটা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার বলেন, চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উপশাখায় নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থাই তারা করেননি। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু কোনো ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো আগ্রহ নাই।
