বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামীলীগ নেতার প্রকাশ্যে রমরমা ডিজিটাল জুয়ার ব্যবসা

0 ১,১৩৪

শেরপু(বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের গাড়ীদহ বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘর ভাড়া নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মতির ডিজিটাল জুয়ার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের ভিড়। এসব জুয়ার কারনে বাড়ছে মারামারি, খুন, চুরি ও মাদকের প্রবণতা।
জানাযায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়া গ্রামে প্রায় একমাস ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে অনলাইনের শিলং তির (ঞববৎঃড়ফধু.পড়স) নামের মোবাইল অ্যাপ দিয়ে চালানো হয় এই ডিজিটাল জুয়া। অ্যাপটি থেকে জানাযায় এটি ভারতের শিলং সিটি থেকে তৈরি। এখানে প্রতিদিন বিকাল এফ/আর ৩.৪৫ মিনিট ও এস/আর ৪.৪৫ মিনিটে ০০ থেকে ৯৯ নাম্বার এর মধ্যে একটি নাম্বার প্রকাশ করা হয়। এই অ্যাপটি দিয়ে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, বিএনপি নেতা আনিস ও যুবলীগ নেতা ডিকে মমিনের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের টিম গঠন করে দিনভর চলছে জুয়ার আসর। ০০ থেকে ৯৯ নাম্বার এর মধ্যে যে কোন নাম্বারে একজন জুয়ারু ১০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা ধরতে পারে। প্রতিদিন একটি বিজয়ী নাম্বার এ যত জন টাকা ধরে তারা ৭ গুন টাকা পায়। একজন যে কোন নাম্বারে যতখুশি ততো টাকা ধরতে পারে।
এলাকাবাসী জানায়, পাড়ার উঠতি বয়সের যুবকরা এই জুয়ায় আসক্ত বেশী। এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা, বিএনপি নেতা ও যুবলীগ নেতারা মিলে এই জুয়া পরিচালনা করছে। তাই আমরা এদের কাছে অসহায়। এ ব্যাপারে গাড়ীদহ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ডিকে মমিন বলেন, সমিতির সিল মোহর, দোকানের ক্যাশ ম্যামো দিয়ে টোকেন করে দেয়া হয়। যে নাম্বারে টাকা ধরা হয় সেই নাম্বারের লেখে পাশে টাকার পরিমান ও রাউন্ড এর সিল দেয়া হয়। একারনে এই জুয়ার কোন প্রমাণ নাই। পুলিশরা এটা যে জুয়া তা বোঝেই না। তাছাড়া থানা পুলিশ কন্টাক্ট করা আছে। এবিষয়ে গাড়ীদহ ইউনিয়ন আঃ লীগের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মতি মোবাইল ফোনে বলেন, সিলেট থেকে এই খেলা আমরা নিয়ে এসেছি। আমরা কমিশনের মাধ্যমে চালাচ্ছি। এটা একটা ভাগ্য পরীক্ষার খেলা।
এব্যাপারে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, এমন কোন খবর আমার জানা নাই। যে কোন জুয়া খেলা বন্ধ করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.