বগুড়ায় দুইদিনে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত-১১

১৪১

দীপক কুমার সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার কাহালু ও শেরপুরে গত দুই দিনে পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় ৮জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ১৬ জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার কাহালু উপজেলার দরগাহ হাট এলাকায় মিনি ট্রাক ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাবা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে গত ১৫ জুলাই শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার ঘোগাব্রীজ এলাকায় দুটি বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৪জন নিহত হয়। উভয় ঘটনায় অন্তত ১২জন আহত হয়েছে।

১৬ জুলাই কাহালু উপজেলার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- নওগাঁর ধামুরহাট এলাকার তানছের আলী (৬০), তার ছেলে আরাফাত আলী টগর (৩৫), একই এলাকার তানছের আলীর আত্মীয় মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫) এবং প্রাইভেটকারের চালক নওগাঁর পতœীতলা এলাকার মান্নু মিয়ার ছেলে সুমন (৩০)। এতে শাকিল (২০) নামে আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ও নিহতরা সকলে প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত তানছের আলীকে চিকিৎসার জন্য তার ছেলে ও অন্যরা প্রাইভেটকারে নওগাঁ থেকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। কাহালুর দরগাহ হাট এলাকায় পৌঁছালে বগুড়া থেকে নওগাঁগামী একটি মিনি ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো- গ-২৩-১৭১৩) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তানছের আলী, তার ছেলে টগর ও প্রাইভেটকারের চালক সুমন নিহত হন। আহতদের মধ্যে শাকিল ও আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আমবার হোসেন জানান, এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। তবে ট্রাকচালক পলাতক থাকায় তাদের আটক করা যায়নি। ট্রাকটিকে পুলিশ জব্দ করেছে।

অপরদিকে ১৫ জুলাই শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী দুইটি বাসের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও দশজন আহত হয়।

শনিবার (১৬জুলাই) বেলা ১১টায় নিহতদের নাম ও পরিচয় তথ্য নিশ্চিত করে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম বলেন, নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা মশিউর রহমান (৩৫), তাঁর স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩০), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি বেগম (৪০) ও বাস চালক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কোব্বাত আলীর ছেলে সুজন মিয়া (৩০)। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিনজনই গামেন্টস্ কর্মী। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় যাচ্ছিলেন তারা।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা ব্রীজ নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে কালিয়াকৈর পরিবহনের একটি যাত্রীবাস ও নওগাঁ ট্রাভেলস নামের আরেকটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাস চালক সুজন মিয়া ও যাত্রী ফেন্সি বেগম নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত উভয় বাসের আরও দশজন যাত্রী বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে যাত্রী মশিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস বেগম ১৫ জুলাই শুক্রবার রাতে মারা যায়।

এ বিষয়ে বগুড়া ছিলিমপুর (মেডিকেল) ফাঁড়ির ইনচার্জ বেলাল হোসেন জানান, মরদেহগুলো হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Comments are closed.