বগুড়া জেলা আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত ॥ মজনু সভাপতি- রিপু সাধারণ সম্পাদক

0 ২২৫

বগুড়া প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৫ বছর পর বর্ণিল ও শান্তিপ্রিয় আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নতুন কমিটিতে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানকে সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদকে রাগেবুল আহসান রিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ত্রি বার্ষিক সম্মেলন শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বেলা সাড়ে ১০টায় উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম।

এছাড়া সম্মেলনের প্রথম পর্বে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদা মাহমুদ চৌধুরী এমপি, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও মেরিনা জাহানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন বিলুপ্ত জেলা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ রণি।

সম্মেলনে ৫১৫জন কাউন্সিলর সহ প্রায় ২৫ হাজার ডেলিগেট উপস্থিত হয়ে বর্ণিল সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জন সমদ্রে পরিণত হয়। উদ্বোধনের পর সম্মেলন মঞ্চে দৃষ্টিনন্দন নৃত্য পরিবেশন করেন বগুড়ার নৃত্য শিল্পীরা।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মাদ নাসিম হাইকমান্ডের পছন্দ অনুযায়ী নতুন এই আংশিক কমিটির ঘোষণায় সভাপতি পদে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনুকে। বিগত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাগিবুল আহসান রিপু সাধারণ সম্পাদক, আর সিনিয়র সহ সভাপতি টি জামান নিকেতা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুঞ্জুরুল আলম মোহন ও সাগর কুমার রায়কে যুগ্ম সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদুর রহমান মিলনকে অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে নেতৃবৃন্দের ঘোষণা দেয়। এসময় তিনি ঘোষিত নতুনদের নেতাদের দ্রুততম সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশনাও দেন।
এদিকে এ কমিটির শীর্ষ নেতাদের নাম ঘোষণার পর পরই ‘এই কমিটি মানিনা, মানিনা ” বলেন শ্লোগান করে স্থলের সভাস্থলের চেয়ার ভাংচুর করে বিক্ষুদ্ধরা। পরে পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রন আনে।
সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু আগে সকাল থেকেই জেলা বিভিন্ন উপজেলা, শহর ও বন্দর এলাকা থেকে বর্ণিল সাজে, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নিয়ে ও উৎসবমুখর হয়ে নেতাকর্মীরা সভাস্থলে অংশ গ্রহন করে। অন্যদিকে সম্মেলনের সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ কড়া সর্তকাবস্থানে পুলিশ মোতায়ের ব্যবস্থা ছিলো চোখে পড়ার মতো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.