বিএনপি সরকারের আমলে ৪৯মামলা ৫২বার কারাবরন করা আওয়ামীলীগ নেতা আবুল সরদার নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী

0 ৪২২
মনিরুজ্জামান মনি, তানোর প্রতিনিধি: বিগত ১৯৯১ সাল থেকে ৯৬ সাল ও ২০০১ সাল থেকে বিএনপি জোট সরকারের দুই সময়ে ৪৯ মামলার আসামী ও ৫২ বার জেলে যাওয়া এবং একাধিকবার রিমান্ডে মিথ্যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার মুলুক আসামী সাবেক ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা সরদার আবুল হোসেন আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের আসা নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে নির্বাচনী মতবিনিময় করা শুরু করেছেন। সাড়াও মিলছে প্রচুর।
ত্যাগী পরিক্ষিত সরদার আবুল হোসেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অন্যতম নৌকার দাবিদার হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন আ’লীগের তৃনমূল থেকে শুরু করে নবীন প্রবীণ পরিক্ষিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা। তবে বর্তমানে তিনি প্রতিটি মামলা থেকে আদালতের মাধ্যমে খালাশ পেলেও ত্যাগী এই নেতার জায়গা হয়নি নব্য হায়ব্রিড আমীলীগের কারনে বলেই মনে করছেন ইউপির বাসিন্দারা।
সুযোগ সন্ধানীদের ভিড়ে ত্যাগী পরিক্ষিতরা আজ এক প্রকার নিজ দলের কাছে আক্রোশে পরিণত হয়ে পড়েছেন বলেও একাধিক সিনিয়র নেতারা নিশ্চিত করেন। তানা হলে যে সময়ে মামলায় মামলায় জর্জরিত সে ব্যাক্তির কোন পদ থাকবেনা কেন এমনও প্রশ্ন উঠেছে ।
ইউপির বাসিন্দারা জানান, জন্মলগ্ন থেকেই সরদার আবুল হোসেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাহসী একজন পরিক্ষিত সৈনিক।সে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাহসিক সৈনিক ছিলেন এই অপরাধেই তাকে অর্ধশতবার জেলে যেতে হয়েছে এবং রিমান্ডে এনেও চালানো হয়েছে নির্যাতন। এত কিছুর পরও তিনি আদর্শচ্যুত হননি। পাচন্দর ইউনিয়নে ওই সময় তরুণ সাহসিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সরদার আবুল।
যার মত ব্যাক্তিকে এত মামলা এতবার জেলে যেতে হয়েছে তারমত ব্যাক্তি ক্ষমতার এই সময় কেন কোন পদপদবিতে নেই আমরা ভেবে পাই না। কি কারনে তারমত পরিক্ষিত ব্যাক্তির রাজনৈতিক ভাবে এমন অবস্থা হবে কাল্পনিক ব্যাপার ছাড়া কিছুই না । ১৯৯১ সালের পরে বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালিন যার উপর চলেছে নির্যাতনের খড়গ।
ওই সময় তারমত নির্যাতিত হতে দেখিনি। অথচ যাদের কোন পাত্তাই ছিলনা আজ তাঁরা সবকিছুই করছেন। যেন পরিক্ষিতদের কোন মূল্যই নেই। মানে একটাই কথা নব্যদের দাপটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে হাজারো আবুলকে।
সুত্র মতে, ইতিপূর্বেই প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকেই তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আ”লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুণ উদীয়মান সরদার আবুল হোসেন ইউপির বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করা শুরু করেছেন।
তিনি চলতি মাসের গত মঙ্গলবার ইউপির বনকেশর হাটে গিয়ে দলমত নির্বিশেষে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় একাধিক সিনিয়র প্রবীণ ভোটারেরা দাবি করেন পাচন্দর ইউপির পরিক্ষিত আ”লীগ প্রয়াত মাহাম পরিবারের পর তরুণ প্রজন্মের কেউ যদি থেকে থাকেন সে হল লড়াকু সরদার আবুল হোসেন। কিন্তু ক্ষমতার দাম্ভিকে সেই পরিক্ষিত আ”লীগ নেই।যদিও ইউপির চেয়ারম্যান আ”লীগের রয়েছে, কিন্তু প্রকৃতভাবে দেখলে বা বিবেচনা করলে সরদার আবুল হোসেন দলীয় প্রতীক পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
তারগ্রামের একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, সরদার আবুল হোসেন নানা ধরনের সামাজিক কাজে জড়িত থাকার কারনে সবার কাছে রয়েছে গ্রহণ যোগ্যতা। এখনো এলাকায় কোন ব্যাক্তি মারা গেলে বাঁশ নিয়ে চিন্তা করা লাগেনা কারন তাঁর বাঁশঝাড় হতে অনায়াসয়েই যে কেউ কেটে নিয়ে আসে। শুধু তাই না কোন ব্যাক্তি মারা গেলে দূরে থাকা মানুষদের খাবারের জন্য তাঁর পুকুর থেকে নির্দ্বিধায় মাছ মারে।
সরদার আবুল হোসেন জানান, ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু।প্রথমে তালন্দ কলেজে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের সহসভাপতির ছিলাম, তানোর কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর রাজশাহী কলেজে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এবং বিএনপি জোট সরকারের সময় পাচন্দর ইউপির যুবলীগের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মামলা হামলা রিমান্ডসহ জুলুম নির্যাতনের খড়গ চলেছে।
বর্তমানে যদি দল ক্ষমতায় তারপরও কোন পদে নেই এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে। এমনকি আমার জাতীয় পরিচয় পত্রটিও জেলে হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশরতœ বঙ্গকন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সব ডাটা বিবেচনায় নিলে আসা করি দলীয় প্রতীক পাব। তারপরেও যদি না পাই যাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে তাঁর হয়েই কাজ করবেন বলে জানান এই ত্যাগী পরিক্ষিত নেতা।
বেশ কিছু সিনিয়র নেতারা জানান, ভোট করতে অনেকেই চাইবে, তাঁর মধ্য থেকে ত্যাগী পরিক্ষিত ব্যাক্তিকেই দলীয় মনোনায়ন দিলে অন্তত তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মুল্যায়ন হবে। নচেৎ উড়ে আসা ব্যাক্তিকে দিলে কর্মীরা মুল্যায়ন হয়না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.