“বেঞ্চ এবং বারের পারষ্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ন্যায় বিচারের জন্য অপরিহার্য”

0 ৫৬৩

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বেঞ্চ এবং বারের পারষ্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এর ব্যত্যয় কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট বারের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ওজায়ের ফারুকের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী ‍উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন।

স্মরণসভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বর্তমান বিচার বিভাগ তথা বিচার ও আইনজীবীদের কর্মপরিধি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে গত চার বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি যেমন ঘটেছে সেই সঙ্গে বিচারপ্রার্থীদের সচেতনতা ও মামলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসবের সঙ্গে বিগত তিন দশকে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগের বিল্পবের কারণে আইন ও আইনের চর্চার জগতের সীমাও বেড়েছে।’

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রয়াত ওজায়ের ফারুকের স্মৃতিচারণ করে নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আইনের পেশায় সফলতার জন্য কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। এজন্য আপনাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সিনিয়রদের পদাঙ্গ অনুসরণ করতে হবে। আমি মনে করি মরহুম ওজায়ের ফারুকের কর্মময় জীবন আপনাদের জন্য অনুকরণীয় এবং রুল মডেল হতে পারে। আর এ কারণে তিনি সিনিয়র আইনজীবী ও জুনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’

স্মরণসভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘ওজায়ের ফারুল একজন শ্রদ্ধাভাজন আইনজীবী ছিলেন। তিনি একজন সমাজসেবক, রাজনৈতিক নেতা এবং আইন অঙ্গণের অকুতভয় সৈনিক ছিলেন।

সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘ওজায়ের ফারুক আইনজীবীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। আমার সঙ্গে তার সুগভীর সম্পর্ক ছিল। আমরা একসঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছি।’

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ওজায়ের ফারুকের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘ওজায়ের ফারুকের কর্মের নির্যাস যেন আমাদের সকলের অন্তরে প্রবেশ করে। তার কর্মময় জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে।’

ওজায়ের ফারকের সঙ্গে নিজের কাজের স্মৃতিচারণ করে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘ওজায়ের ভাইয়ের সঙ্গে বহু মামলা পরিচালন করেছি। তিনি একজন সৎ মেধাবী আইনজীবী ছিলেন।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘ওজায়ের ফারুক ছিলেন একজন ন্যাচারাল লিডার। তিনি আইনজীবীদের আপদে-বিপদে এগিয়ে যেতেন। মানুষের সঙ্গে দারুণভাবে মিশতে পারতেন তিনি। এ ছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের বিচাপতি আশরাফুল কামাল, জাহাঙ্গীর হোসেন সুপ্রিম কোর্টের বারের সভাপতি এ. এম আমিন উদ্দিন এবং সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক নজিবুল্লাহ হিরু স্মৃতিচারণা করেন।

আইনজী্বী আজহারুল্লা ভূইয়ার উপস্থাপনায় স্মরণসভায় অন্যান্যদের মধ্যে আইনজীবী সুব্রত রায় চৌধুরী, রুহুল কদ্দুছ কাজল, রবিউল আলম, আসাদুজ্জামান খান, বদরুদ্দোজা বাদল, বশির আহমদ প্রমুখ ওজায়ের ফারুককে নিয়ে স্মৃতিচারো করেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে বার মসজিদের ইমাম মুফতি আবু জাফর সালেহের পরিচালয় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.