ব্যালন ডি’অরের আয়োজকের ওপর খেপেছেন রোনালদো

৩২১
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি : সংগৃহীত

জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে গতকাল রাতেই সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার গ্রহণ করেছেন লিওনেল মেসি। একই দিনেই আলোচনায় আসলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ব্যালন ডি’অরের আয়োজক তথা ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক প্যাসকেল ফেরের ওপর খেপেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক প্যাসকেল ফেরে। তিনি বলেছেন, রোনালদোর লক্ষ্য নাকি মেসির চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জিতে অবসরে যেতে চান। রোনালদো নিজেই নাকি এ কথা প্যাসকেলকে বলেছিলেন। এমন মন্তব্য অস্বীকার করে ব্যালন ডি’অরের প্রধানকে মিথ্যাবাদী বললেন রোনালদো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লম্বা বিবৃতিতে প্যাসকেল কড়া জবাব দিয়েছেন রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তারকা লিখেছেন, ‘আজকের এই লেখায় আমি ব্যাখ্যা করব, গত সপ্তাহে দেওয়া প্যাসকেল ফেরের বক্তব্যের। যেখানে তিনি বলেছেন, ক্যারিয়ার শেষ করার আগে আমার একমাত্র লক্ষ্য হলো লিওনেল মেসির চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জেতা। প্যাসকেল ফেরে মিথ্যা বলেছেন, সে নিজের প্রচারণা ও যে প্রকাশনার জন্য সে কাজ করে তার প্রচারণার জন্য র জন্য আমার নাম ব্যবহার করেছেন।’

গতকাল ফ্রান্সে ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠানে ফুটবলের অনেক তারকারা থাকলেও ছিলেন না রোনালদো। প্যাসকেল বলেছেন, রোনালদো নাকি কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে নেই। এই কথাটিও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রোনালদদো,’এই ধরনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেওয়ার পেছনে যার অবদান রয়েছে, তার কাছ থেকে এমন মিথ্যাচার অগ্রহণযোগ্য। ফ্রান্স ফুটবল এবং ব্যালন ডি’অরকে  যে সবসময় সম্মান করেছে, তার প্রতি পুরোপুরি অসম্মান। এমনকি তিনি আজকেও (সোমবার) মিথ্যা বলেছেন। গালাতে আমার অনুপস্থিতির পেছনে কোয়ারেন্টিনের কথা বলেছেন, যার কোনো অস্তিত্বই নেই।’

পর্তুগিজ তারকা আরো লিখেছেন,’আমি সবসময় যারা বিজয়ী হয় তাদের অভিনন্দন জানাতে চাই। এবং এখনও করি কারণ আমি কারো বিরুদ্ধে নই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই স্পোর্টসম্যানশিপ ও ফেয়ার প্লে’র মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠেছি আমি। আমি সবসময় নিজের জন্য এবং নিজের ক্লাবের জন্য জিতি। আমি আমার জন্য জিতি, আমাকে যারা ভালোবাসে তাদের জন্য জিতি। আমি কারও বিরুদ্ধে জিতি না। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো যে ক্লাবের হয়ে আমি খেলি এবং আমার দেশের জাতীয় দলের হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতা। আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো যারা পেশাদার ফুটবলার হতে চায় তাদের জন্য ভালো একটা উদাহরণ তৈরি করে যাওয়া। আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো ফুটবল ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখে যাওয়া।’

শেষ ম্যানইউ তারকা লিখেছেন, ‘আমি এটি বলে শেষ করছি যে, আমার সকল মনোযোগ এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পরবর্তী ম্যাচের দিকে। আমার কাছে এটিই সবকিছু। আমার সতীর্থ ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে চলতি মৌসুমে আমরা এখনও অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। আর বাকি সব? বাকি সব বাকি সব কিছুর মতোই।’

Comments are closed.