ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ সিনিয়র মন্ত্রিদের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

২৬৪
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (বামে) ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ দেশটির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে ‘শত্রুভাবাপন্ন’ অবস্থানের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিদের রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রস, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং আরও ১০ জন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক এই নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তের তালিকায় রয়েছেন। এঁদের বেশিরভাগই ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য।

ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার ওপর ব্রিটিশ সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এর আগে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করে মস্কো।

বরিস জনসন ও লিজ ট্রসসহ আরও যে যারা এই তালিকায় রয়েছেন-

উপপ্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব। গণপরিবহণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী গ্রান্ত শ্যাপস।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিতি প্যাটেল। অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক। ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্পনীতি বিষয়ক মন্ত্রী কসি কর্তেং। ডিজিটালাইজেশন, সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া মন্ত্রী ন্যাডিন ডোরিস। সামরিক বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হিপ্পি। স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী নিকোলা স্টার্জেন।

ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের অ্যাডভোকেট জেনারেল সুয়েলে ব্রাভেরম্যান। কনজারভেটি পার্টির এমপি এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা করতে লন্ডনের বেপরোয়া তথ্য ও রাজনৈতিক প্রচারণার কারণেই নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্ত। মূলত, ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা সৃষ্টি করে চলেছেন ব্রিটিশ নেতারা।’

এর আগে ইউক্রেন হামলার কিছুদিন পরই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যৌথভাবে রাশিয়ার ওপর আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

Comments are closed.