ভারত ও শ্রীলঙ্কার পরিচালিত সামরিক মহড়ায় পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগ প্রকাশ

১৪২

ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পরিচালিত বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়া শ্রীলঙ্কায় ভারত ও চীনের মধ্যে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংঘাতের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। শ্রীলঙ্কায় চীনের সম্ভাব্য সম্প্রসারণকে হ্রাস করে ভারতীয় প্রভাবের বৃদ্ধি সম্পর্কে পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সূত্র: A24 News Agency

শ্রীলঙ্কার সংসদ সদস্য এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিচারক সি.ভি. উইগনেশ্বরন বলেন, সরকারের অবহেলা এবং সাহায্যের অভাবের কারণে ক্ষিণাঞ্চলে তার উপস্থিতি ম্লান হয়ে যাওয়ার পরে চীন দেশের উত্তরাঞ্চলের কাছাকাছি যেতে চাইছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতর দুটি দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং বহুবছর ধরে এরা একই রকম সংস্কৃতি দ্বারা পরিচালিত হয়।

তাঁর মতে, ” আমরা এই এলাকার ভূ-রাজনীতির বিশ্ব পুলে আছি। তবে অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্ভাগ্যবশতভাবে এই সরকার এই এলাকায় এমন একটি ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পথ তৈরী করে দিয়েছে যা এড়ানো যেত। সুতরাং, এই মুহুর্তে যা ঘটছে তা হল, আমরা দুটি বৃহৎ দেশের মধ্যে ভূ-রাজনীতি সমস্যার সমাপ্তির পথে রয়েছি।

তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং এই সরকার একজনকে অন্যের বিরুদ্ধে এবং অন্যকে আরেকজনের বিরুদ্ধে সাহায্য করছে বলে মনে হচ্ছে, আমি বলব এটি খুব বিপজ্জনক। কারণ আমরা এমনিতেই আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। কিন্তু এখন আমি বুঝতে পারছি যে, আজ চীন কয়েক ট্রিলিয়ন অর্থ সাহায্য হিসেবে দেবে এবং ভারতও কিছু সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাহলে কি করে আপনি একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবেন, এটা খুবই বিব্রতকর।”

পূর্বাঞ্চলের আমপাড়া জেলায় ভারত ও শ্রীলঙ্কা ১২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যের অস্ত্র লের অংশগ্রহণে ১২ দিনের জন্য ‘মিত্র শক্তি’ অনুশীলন পরিচালনা করেছে। এ অনুশীলনের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাস বিরোধী সহযোগিতা বাড়ানো এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ডা. শ্রীমাল ফার্নাস্রো জানান ” মিত্র শক্তি’ শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৮ম সংস্করণ একটি সামরিক মহড়া যার মধ্যে ১২০ জন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া বাহিনীর সদস্য ১২ দিনের অনুশীলনের জন্য শ্রীলঙ্কায় আসছেন যা উভয় দেশ তাদের জাতীয় নিরাপত্তা নীতিতে চেয়েছিল। পাশাপাশি প্রতিবেশী বৈদেশিক নীতির প্রকাশে এটি একটি নতুন পররাষ্ট্র নীতির আউটরিচ। ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগ এমন কিছু যা শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে নয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনীতিকও।

এটি এমন কিছু যা আমরা বলতে পারি, ইতিহাস, জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি নিকটতম প্রতিবেশীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগ, এমন কিছু যা শ্রীলঙ্কা নজরদারি করছে এবং ভারত এই নতুন পররাষ্ট্র নীতির গতিশীলতায় ভারত মহাসাগরের রাজ্যগুলির উপরে প্রভাব বিস্তার করে।”

Comments are closed.