ভাসানী আজো দেশপ্রেমিক জনতার অনুপ্রেরণার উৎস

১১২
রাবি প্রতিনিধি: মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, মাওলানা ভাসানী আজো দেশপ্রেমিক জনতার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন। সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের ১২৫ নম্বর কক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক ফজল এবং বিশিষ্ট লেখক ও ইউডিপিএস-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক আফম আখতার উদ্দীন মানিক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সমাজকর্মী আব্দুল মতিন খোকা, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জহির উদ্দিন শাওন, রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান, নাগরিক ছাত্রঐক্যের আহবায়ক মেহেদী হাসান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন উত্তরণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন। বক্তারা বলেন, মাওলানা ভাসানী এ জাতির অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর মতো দীর্ঘ ও বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ব্যক্তিত্ব পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
তিনি আজীবন গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি দেশ জাতির জন্য যে নিঃস্বার্থ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আজো অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে দেশপ্রেমিক জনতার জন্য। বাংলাদেশের সব ধরনের মানুষের মাঝে তাঁর আশ্চর্য্য গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, যার ফলে আজো তিনি ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এদেশের জনগণের কাছে পরিগণিত হয়ে আছেন। মাওলানার ‘পালনবাদ’ এক যুগান্তকারী চিন্তাচেতনার প্রতিফলন।
আজ ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়নে যে কৃপণতা করা হচ্ছে তা অত্যন্ত হতাশা ও ন্যাক্কারজনক। এর মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী নিজেদের দৈন্য প্রকাশ করেছে। নতুন প্রজন্মকে মাওলানা সম্পর্কে জানতে হবে নিজেদের স্বার্থেই, এর কোন বিকল্প নেই।

Comments are closed.