মানবাধিকার হরণকারীরাই বড় ডাকাত: ড.কামাল

0 ২৬৩

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক, সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘যারা মানবাধিকার হরণ করে তারাই বড় ডাকাত। তাদের চেয়ে বড় ডাকাত আর কেউ হতে পারে না।’ব্রেকিংনিউজ

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে “বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যে মানবাধিকারের জন্য ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছে সেই মানবাধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে মানবাধিকার আদায়ের বিষয়ে মিটিং, আলোচনা হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তো পরাধীন নই। সংবিধান অনুযায়ী আমরা স্বাধীন দেশের মালিক। স্বাধীন দেশের মালিক হয়ে আমাদের যে অধিকার, সেই অধিকারগুলো এক মুহূর্তের জন্যও আমরা হারাতে পারি না। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, কথা বলার অধিকার আমাদেরকে দিয়ে গেছেন, আমাদের কোনও অধিকার নেই তাদের সঙ্গে বেইমানি করার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালি জাতি অন্যায় মেনে নেয়ার জাতি না। পাকিস্তান বুঝতে পারেনি, তার জন্য তাদেরকে মাশুল দিতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অনেক স্বৈরশাসক বুঝতে পারেনি, তাদেরকেও মাশুল দিতে হয়েছে। এখনও যদি কেউ মনে করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকবে তারা থাকতে পারবে না। এই বাঙালি জাতি থাকতে দেবে না।’

এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আর গণতন্ত্রের অর্থ হলো দেশের জনগণের অধিকার। সেই অধিকার যদি কেউ অন্যায়ভাবে হরণ করার চেষ্টা করেতার মানে এই নয় যে, আমরা অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। কেউ যদি অন্যায়ভাবে অধিকার হরণের চেষ্টা করে তাহলে সেটাই হলো সবচেয়ে বড় ক্রাইম। এই ক্রাইমকে ধ্বংস করে আমাদের সেই অধিকার পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা মানবাধিকার হরণ করে, মানুষের অধিকার হরণ করে তারা মহাঅপরাধী। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হলে ঐক্য প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ হয়েই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা মিলু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম ও সা‌বেক রাষ্ট্রদূত মো. মোফাজ্জল ক‌রিম প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.