মুশফিক-ইয়াসিরের বিদায়ে হতাশার প্রথম সেশন

১৫০
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গতকালই বিপদে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। দ্রুত পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কায় পড়ে যায় সফরকারীরা। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে উইকেটে জুটি বাধেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে কিছুটা আশা দেখে বাংলাদেশ।

কিন্তু জমে ওঠার আগেই ইয়াসিরকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙলেন কেশব মহারাজ। ৮৭ বলে ৪৬ রান করে আউট হয়েছেন ইয়াসির। এরপর ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। তাঁদের বিদায়ে প্রথম সেশনটা খুব হতাশায় কাটল বাংলাদেশের।

গতকাল শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই হয় বাংলাদেশের। কাইল ভেরেইনাকে ফিরিয়ে দ্রুতই উইকেট উপহার দেন খালেদ আহমেদ। স্পিন ঘূর্ণিতে আলো দেখান তাইজুল ইসলামও। কিন্তু, বাংলাদেশের এ দুই বোলারকে টেক্কা দিয়ে উইকেটে থিতু হয়ে যান কেশব মহারাজ। লম্বা সময় ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শক্ত পুঁজি এনে দেন মহারাজ।

বিপরীতে কালই প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে হতাশা দেখে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১২২ রান তুলতেই পাঁচ টপঅর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। প্রোটিয়াদের রানের চাপ ও দ্রুত উইকেট হারানোর হতাশা নিয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করে মুমিনুল হকের দল।

কাল নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। হারায় মাহমুদুলের উইকেট। তবে, শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে লড়াই করেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। এ জুটিতে কিছুটা স্বস্তি দেখেছিল বাংলাদেশ। তামিম ও শান্ত ফিরে গেলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটিং নেমে দ্রুত আউট হন মুমিনুল ও লিটন দাস। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে মুমিনুল হকের।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৩৯ রান তোলে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থেকে ৩১৪ রান পিছিয়ে থেকে আজ রোববার টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় দিন শেষে উইকেটে ছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও মুশফিকুর রহিম। কাল ওপেনিংয়ে নেমে ৫৮ বল খেলে ৪৭ রানের ইনিংস উপহার তামিম। তাঁর সঙ্গে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আউট হওয়া মাহমুদুল রানের খাতাও খুলতে পারেননি। মুমিনুল হক করেন ৬ রান। আর, লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে  প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন কেশব মহারাজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন ডিন এলগার।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১৩৫ রান দিয়ে ছয় উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এই নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে দশমবার এক ইনিংসে ৫-এর বেশি উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেলেন তাইজুল। এর মধ্যে দেশের বাইরে ৫ উইকেট নিলেন তৃতীয় বার। তাঁর সঙ্গে খালেদ আহমেদ নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

Comments are closed.