রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারে গবেষণা ও ব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

২০৭
শেখ হাসিনা আজ শনিবার ২৬তম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’-এর উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের রপ্তানি ও বাণিজ্যের প্রসারে পণ্যের বৈচিত্রকরণ এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের গুণগত মান ধরে রেখে আপনারা (ব্যবসায়ীরা) যেন আপনাদের বাজার ঠিক রাখতে পারেন, আরও উন্নত করতে পারেন, সে দিকে অবশ্যই দৃষ্টি দেবেন। অর্থাৎ নিজস্ব ব্র্যান্ডিং সৃষ্টি করে আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

শেখ হাসিনা আজ ২৬তম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’-এর উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গবেষণাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিই। আমার মনে হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের আরও গবেষণা দরকার। আমাদের পণ্যের চাহিদা ও মান সেগেলো বিশেষভাবে নিরুপণ করা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের মান ধরে রাখার বিষয়ে প্রতিটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প মালিক ও উদ্যোক্তদের আমি অনুরোধ করব—নিজের দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য আপনাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজকে প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সামনে রেখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতেও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে আমরা কোনোভাবেই যেন পিছিয়ে না থাকি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

করোনার মধ্যেও অর্থনীতিকে সীমিত আকারে হলেও এগিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে মালিক-শ্রমিক সবাইকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, এর মধ্যেও আমাদের অর্থনীতি কিন্তু একেবারে কখনও স্থবির হয়নি। স্বল্পমাত্রায় হলেও আমরা সব চালু রাখতে সক্ষম হয়েছি, যেখানে পৃথিবীর বহু দেশ কিন্তু এ সমস্যায় পড়েছে।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ে তাঁর সরকার প্রবৃদ্ধিকে ৮ ভাগে তুলতে সক্ষম হয়েছিল উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এটি অতিক্রমেরও আশবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান কূটনীতিকে বাণিজ্যিক কূটনীতি আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এরই মধ্যে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ প্রত্যেকটি দূতাবাসকে সেভাবেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে আরও সহজভাবে করতে পারি, সেজন্য দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে ২৩ দেশের বিষয়ে সম্ভাব্য সমীক্ষা সম্পন্ন করেছি। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের অর্জনকে ধরে রেখে যদি সামনে কোনো চ্যালেজ্ঞ আসে, সেটাও যেন আমরা মোকাবিলা করতে পারি, সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিইও এ এইচ এম আহসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড এবং মেলা নিয়ে ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।

Comments are closed.