রাজশাহীতে ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপন

১০০

শনিবার (০৫ নভেম্বর) ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস। ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’Ñ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিসবটি উদ্যাপন করা হয়। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং সমবায় বিভাগের যৌথ আয়োজনে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সমবায়ের যে শক্তি তার পরিসর বৃহৎ, সমবায়ের শক্তিসুবিশাল। আমাদের আশেপাশের দেশগুলোসমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে বিশে^র মানচিত্রে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসমবায়ের শক্তিকে উপলব্ধি করেস্বাধীনতারপর থেকেই সমবায় আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য কাজ করেছেন।

আমাদের দেশের সমবায়ীরা খুবই আত্মনিবেদিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের সমবায়ীদের নিয়ে আমরাস্বপ্ন দেখতে পারি, কারণ তারাআত্মনিবেদিত সমবায়ী।আজকে দেশে নামী-দামিযেসব ব্র্যান্ড দেখাযায়, সেগুলো সমবায়ের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।তাই সমবায়ের শক্তিকে হালকাভাবে নেয়ার উপায় নেইÑ যে কোনো পরিস্থিতিতে এটা মানসিক শক্তি হিসাবে কাজ করে।

জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। দেশের সব মানুষ কোনো না কোনোভাবে এগুলোর উপকারভোগী।আশ্রয়ণ প্রকল্প তার মধ্যে অন্যতম।প্রভাবশালী মহলেরকাছ থেকে সরকারি খাস জমি পুনরুদ্ধার করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীনদেরকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।

এই উপকারভাগীরা এখন বিভিন্ন সমবায়ী আন্দোলনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে হাস-মুরগি, গোরু-ছাগল ও শাক-সবজির খামার করে সবাই সাবলম্বী হচ্ছেÑ এটা ভবিষ্যতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত জিআইজি মো: রাশেদুল হাসান, আরএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক। অনুষ্ঠানে রাজশাহী সমবায়ী বিভাগের যুগ্ম নিবন্ধক মো. আব্দুল মজিদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজশাহী বিভাগের সমবায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে সফল সমবায়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

Comments are closed.