রাজশাহী বাস্তবেই আজকে শিক্ষানগরী: এমপি বাদশা

0 ১৬২
স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, আমি নিজেও রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছি। আগে থেকেই রাজশাহী নগরীকে শিক্ষানগরী হিসেবে বলা হতো। তবে এখন শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ‘আখ্যায়িত’ শিক্ষানগরী আজকে বাস্তব অর্থেই শিক্ষানগরীতে পরিনত হয়েছে।

রোববার সকালে নগরীর শাহমখদুম কলেজের ছয়তলা ভিত বিশিষ্ট নতুন একতলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ফিতা কেটে নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন এমপি বাদশা। পরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে বাদশা বলেন, যে কলেজে দাঁড়িয়ে আজকে বক্তব্য দিচ্ছি, ২০০৮ সালের আগে এই কলেজের চিত্র কি ছিল; তা আমরা সবাই জানি। আমি সাংসদের দায়িত্ব পেয়ে প্রথন যেদিন এই কলেজে আসি, সেদিন দেখি- কলেজের মাঝখানে বিশাল গর্ত এবং এর চারপাশে জঙ্গল ও ঝোপঝাড়। জরাজীর্ণ একটি ভবন ছিল; কিন্তু এতে পাঠদানের কোন সু-পরিবেশ ছিল না। আজকে আপনারাই কলেজের চারিদিকে তাকিয়ে দেখেন, চিত্র পাল্টেছে কিনা।

শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে শিক্ষকদের আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টানা তিনবারের এই এমপি বলেন, শাহমখদুম কলেজের শিক্ষার মান আগের তূলনায় বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা পাশ করে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। তবে শিক্ষানগরীর মর্যাদা ধরে রাখতে আরো ভালো কিভাবে করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। আপনারা চেষ্টা করবেন, শিক্ষার্থীরা যাতে কার্যকর নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহমখদুম কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর নুরুল আলম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে ঠিক এমনটিই হতে হয়, যেমনটি তিনি (এমপি বাদশা)। তার মতো জনপ্রতিনিধি আর কয়টা থাকলে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো, তা অকল্পনীয়!

তিনি বলেন, আমি যেহেতু রাজশাহীতেই বাস করি- সেহেতু এই কলেজকে গত ২০-৩০ বছর আগে থেকেই চিনি। কলেজটির তখনকার যে চিত্র, তা ছিল অত্যন্ত করুণ! কিন্তু এখনকার যে চিত্র, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। আর এই প্রশংসার দাবিদার- জনাব ফজলে হোসেন বাদশা। তার কাছে আমরা সবাই কৃতজ্ঞ!

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহমখদুম কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম। আরো বক্তব্য দেন, সাবেক অধ্যক্ষ ও ইসলামিয়া কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুর রহমান। এসময় বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, শিক্ষানুরাগী মোর্সেদ মঞ্জুর হাসান চুন্না, অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীসহ স্থানীয় এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.