রৌমারীতে ব্রিজের এ্যাপ্রোচ ও গাইড ওয়ালের ইট গেলো চেয়ারম্যানের বাড়িতে

৩৬২

মাজহারুল ইসলাম রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সরকারি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও গাইডওয়ালের ইট চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম সাইদুর রহমান দুলালের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত রবিববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী দেলোয়ার হোসেন।

অভিযোগে বলেন, চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম সাইদুর রহমান দুলাল শেখের বাজারের পাশে পশ্চিম খেদাইমারী সড়কে নির্মিত ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও নিচের গাইডওয়াল ভেঙে প্রায় ৫ হাজার ইট তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ ছাড়াও ওই জায়গায় একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ২লাখ টাকা বরাদ্দ পায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল। বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত করে ।

এদিকে পাখিউড়া চৌরাস্তার মোড় হতে দক্ষিন দিকে পূর্ব খেদাইমারী রাস্তায় প্রায় ২৫ বছর আগে ইউক্লিপ্টার, রেন্ট্রি কড়াই ও মেহগণিসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করা হয়। বর্তমানে প্রতি গাছের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল কোনো প্রকার রেজুলেশন বা সংগঠনের কাউকে না জানিয়ে পাখিউড়া মোড়স্থ্যল সো-মিলের মিস্ত্রী নজিরের মাধ্যমে ১১ টি গাছ গত ১৮ ফের্রুয়ারি অবৈধভাবে কর্তন করা হয়। পরে ওই ১১টি গাছের কাঠ দিয়ে ব্রীজ নির্মাণের কাজে লাগান ওই ইউপি চেয়ারম্যান।

এবিষয়ে ব্রীজ সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা হাসেন আলী ও ময়নাল হক বলেন, ব্রীজের নিচে গাইড ওয়াল ও এ্যাপ্রোচের ইট গুলি চেয়ারম্যান ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এতে এ ব্রীজের এ্যাপ্রোচ ও গাইড ওয়াল না থাকলে আগামী বন্যায় ব্রীজ ও রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এব্যাপারে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও গাইডওয়ালের ইট আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইটগুলো মাটির নিচে পড়ে যাচ্ছিল। এজন্য আমি তা উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে জমা রেখেছি মাত্র। কাঠের প্রয়োজনীয়তায় ৩ টি ইউক্লিপ্টার গাছ কাটা হয়েছে। তবে রেজুলেশনের জন্য সকল মেম্বারদের সহি নেয়া হয়েছে। লেখা হয়নি। ১১টি গাছ কর্তনের কথা বলা হয়েছে তা সত্য নয়।

এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে ওই জায়গায় ২৭ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যানকে ২লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সড়কের গাছ কেটে ওই কাঠ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হয়নি বলেও জানান তিনি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Comments are closed.