লক্ষ্য পূরণে ভ্রাম্যমাণ মানুষকে জনসনের টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৭৪
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

ভ্রাম্যমাণ মানুষকে জনসনের টিকা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স প্রাঙ্গণে কোভিড-১৯-এর সার্বিক পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম সংক্রান্ত বর্তমান বিষয়াদি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ভ্রাম্যমাণভাবে চলাফেরা করে। এরা দোকান-পাট, কল-কারখানায়, লঞ্চ-স্টিমারে কাজ করে। এখন থেকে ভ্রাম্যমাণ মানুষদের জনসনের টিকা দেওয়া হবে। জনসনের টিকা মাত্র এক ডোজ দিলেই চলে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার দরকার হয় না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই নয় কোটি ৭০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ এবং সাড়ে ছয় কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। বস্তিতে গিয়েও আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্কুলে গিয়ে আমরা টিকা দিয়েছি।

সরকার এ পর্যন্ত সাড়ে ১৭ কোটি ডোজ টিকা দেশের মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের হাতে আরও প্রায় নয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এ কারণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ভ্যাকসিন দিলেও ভ্যাকসিন শেষ হবে না।

ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ১৪ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন আইসোলেশনে রাখতে হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের হার লাখ লাখ। পাশের দেশেই সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গেছে। অথচ আমরা মাস্ক না পরে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্র চলাফেরা করছি। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ শিশুদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক না। জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতনতায় এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.