লুটপাট-চুরির জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে চায় না সরকার: রিজভী

0 ২৭৬

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিএনপিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হলেও ‘লুটপাট আর চুরির জন্য’ সরকার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘সারা দেশে ভয়ঙ্কর ক্ষুধার হাহাকার চলছে। আমরা বারবার বলেছি, বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মহামারিকে সামাল দিই। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার কারও আহ্বান শুনছে না। লুটপাট আর চুরির জন্যই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায় না।’ব্রেকিংনিউজ

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সিরাজদিখানে করোনা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুর উদ্যোগে গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ জনগণের টাকায় কেনা। সেই ত্রাণের হাজার হাজার বস্তা চাল আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। খাটের নিচে ত্রাণের তেল পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে ত্রাণের চাল ডাল তেল পাওয়া যাচ্ছে। সিরাজগঞ্জে একটি মেয়ে খাবার না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। সারা দেশে ক্ষুধার ভয়ঙ্কর হাহাকার চলছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, হুমকি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কোনও সরকারের ত্রাণ পাইনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা পকেটের টাকায় গরিব অসহায় দুস্থ মানুষদের সারা দেশে ত্রাণ বিতরণ করে চলছে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি টাকাওয়ালা লোক বড়লোকদের জন্য স্পেশাল হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। করোনা হলে সেখানে যাবে, কিন্তু গরিব মানুষদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করেনি সরকার। এটা সংবিধান পরিপন্থি কাজ। একই দেশের মধ্যে যাদের টাকা আছে তাদের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সেটা পাবে যারা ব্যবসায়ী, যারা ব্যাংকের মালিক কিংবা গার্মেন্টসের মালিক। গরিব মরে রাস্তায় পড়ে থাকলেও সরকারের কোনও দায় নেই। এটাই বর্তমান সরকারের নীতি। এভাবে চলতে পারে না।’

ত্রাণ বিতরণের সময় রিজভী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ভীষণ আতঙ্ক সারা বিশ্বব্যাপী বিরাজ করছে। শুধু রোগাক্রান্ত হচ্ছে না, মানুষের জীবনও চলে যাচ্ছে। ভয়াবহ শঙ্কার মধ্যে প্রতিটি মানুষ জীবনযাপন করছে। সারা দেশ লকডাউনের মধ্যে পড়েছে। অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে গেছে। কল কারখানা, স্কুল-কলেজ বন্ধ, কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নআয়ের মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুধা-দারিদ্র্যতার মধ্যে দিনযাপন করছে। দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতির জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন ছিল তা সরকার নেয়নি। যখন করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল তখন সরকার পদক্ষেপ নেয়নি। দেশে হাহাকার চলছে এখন। রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জায়গায় লাশ পড়ে থাকছে। একজন লোক আক্রান্ত হলে কি ধরনের প্রস্তুতি নেয়া দরকার তা না থাকায় ঘরের মধ্যে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। দেশে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.