শাকিবের সেই ১০ লাখ টাকা, সব ফাঁস করলেন অপু বিশ্বাস

0 ৫০৫

বিনোদন ডেস্ক: গোপনে প্রেম, বিয়ে অতঃপর পুত্রের জন্ম। একটা সময় কিছুই গোপন থাকেনি। ঢালিউড অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ঢাকাই কিং শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক ও সংসারের কথা নিজেই ফাঁস করেছিলেন। এরপর তো ডিভোর্স। তাদের প্রেমের নিদর্শন স্বরূপ আব্রাম খান জয় নামে এক পুত্র থাকলেও শাকিব-অপু এখন দুই ছাদের বাসিন্দা।

বিচ্ছেদের পর ছেলের কোনও দায়িত্ব নেননি শাকিব খান। এমনকি ছোট্ট আব্রামের কোনও খরচও শাকিব দেন না বলে অপুর অভিযোগ। এমনকি আব্রামকে যে ১০ লাখ টাকা দেয়ার কথা শাকিব গণমাধ্যমকে বলেছেন সেটিরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন অপু বিশ্বাস।

সম্প্রতি তারকা আড্ডার এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ছেলের দায়িত্ব ভাগাভাগি সম্পর্কে অপু বলেন, ‘ভাগাভাগির তো কিছু নেই। সব দায়িত্বই তো আমাকে পালন করতে হচ্ছে। শাকিব তো তার ছেলেকে কিছুই দিচ্ছে না।’

অপু বলেন, ‘শাকিব আসলে কখনোই আব্রামের জন্য কোনও খরচ দেয়নি। আমি একসময় ওর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। তখন আমরা স্বামী-স্ত্রী ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। পরে একটা সময় শাকিব দাবি, ওই ১০ লাখ টাকা নাকি সে ছেলের খরচের জন্য দিয়েছিল। ওই টাকা নাকি ফেরত দিতে হবে না। সেই দেয়াটাকে সবাই প্রচার করেছে, শাকিব তার ছেলে ও স্ত্রীর খরচ দিচ্ছে।’

এই ঢালিউড কুইন বলেন, ‘তখন আমি কিছু বলিনি। কারণ ও টাকাটা আমার কাছে পায়। কিন্তু সত্যিতো এটা নয়। সত্যিটা হলো, ছেলের জন্মের পর এক টাকাও শাকিব ছেলের জন্য দেয়নি। আমি অনেক সংগ্রাম করে আমার ছেলেকে বড় করছি। গণমাধ্যম ও পরিবার আমাকে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে, কেউ আর্থিক সাপোর্ট দেয়নি। আমি বিজ্ঞাপন, সিনেমা ও শো থেকে রোজগার করে ছেলের খরচ জোগাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার পুত্র আব্রামের জন্য সব করতে পারি। ওকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ওর নিরাপদ জীবনের ব্যবস্থা আমাকেই করতে হবে। শাকিব তার ছেলেকে মাসে-বছরে একটা গিফট দেয়, কালেভদ্রে দেখা করতে আসে। সেগুলো থেকেই সংবাদ প্রচার হয় যে, শাকিব ছেলের সব দায়িত্ব পালন করছে।’

গোপনে প্রেম করার পর ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। ২০১৬ সালে ১০ এপ্রিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রাম খান জয়কে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে ও সন্তানের ব্যাপারে প্রথম মুখ খোলেন অপু। এর কয়েক মাস পরেই বিচ্ছেদ হয় ঢাকাই ছবির এই তারকা দম্পতির।

ব্রেকিংনিউজ

Leave A Reply

Your email address will not be published.