নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির ঘোষণা পাঠ করার মধ্য দিয়ে এ অধিবেশন শেষ হলো।
গত ১৮ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বছরের প্রথম এ অধিবেশনের প্রথম দিন ভাষণ দেন। অধিবেশন শুরুর পর দিন ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইফ নুর-ই আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। এরপর গত ১১ কার্যদিবস ভাষণের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অধিবেশনের ১২ কার্যদিবসে মোট ছয়টি বিল পাস হয়েছে। আইন প্রণয়ন কার্যাবলি ছাড়াও এই অধিবেশনে কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ৪৬টি নোটিশ পাওয়া যায়। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের জন্য মোট ৮৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২৮টি প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য মোট ১৬৯৮টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮২০টি প্রশ্ন সম্পর্কে তারা উত্তর প্রদান করেছেন।
সমাপনী ভাষণে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
সংসদ পরিচালনায় সহযোগিতা করায় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে তিনি আন্তারিক ধন্যবাদ জানান। এছাড়া সংসদ উপনেতা, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, চিফ হুইফ ও হুইপবৃন্দ এবং সকল সংসদ সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডেপুটি স্পিকার ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ বেতার, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ দেশের সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান স্পিকার।
