শ্রীলঙ্কায় কৃষিতে সরকারের বিধিনিষেধ প্রভাব ফেলে খাতটির উপর

১৯৯

২০২১ সালে রাসায়নিক সার এবং রাসায়নিক কীটনাশকগুলির উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরে কৃষকরা দুর্বল ফলন এবং ফসল কাটার মৌসুম নিয়ে অভিযোগ করছেন।যার কারণে কৃষি খাতটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিগুরাকগোদার কৃষক, কেশারা উইথানেগে এই নতুন ব্যবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে শুধুমাত্র এক টুকরো জমি চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পেতে এবং সামান্য মুনাফা অর্জন জন্য কৃষকদের তাদের গয়না, বাড়ি এবং সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হবে। সূত্র: A24 News Agency

উইথানেগে জানান, আমরা প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষ করি। আমরা নিম্নমানের ধানের স্পাইক পেয়েছি। আমাদের গয়না, ট্রাক্টর ইত্যাদি বন্ধক রেখে এই চাষের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষের পরামর্শে জৈব সার এবং ন্যানো নাইট্রোজেন ব্যবহার করার পরেই এই ধরনের ফসল পাওয়া গেছে।“

তিনি আরও বলেন যে কর্তৃপক্ষ কৃষিকাজের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে, কারণ কৃষকদের শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করতে হবে, যা নিম্ন আয়ের কৃষকদের উপর আর্থিক চাপ বাড়াবে। সম্পাথ অবসুন্দরা, যিনি একজন ইউনিয়নবাদী তিনি বলেছেন যে খারাপ ফসল অনেক কৃষকদের কৃষি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে কারণ তারা চাষের ফল কম পাচ্ছে এবং সরকারী নতুন বিধিনিষেধের কারণে ফসল কাটার মৌসুমে ফলন অনেক কম হবে।

তিনি বলেন, আমরা এত খারাপ ফসল পেয়েছি। এখন আমাদের এই ফসল চাষ বা চাষ ত্যাগ করার মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর কারণ হল কম ফসল। আমরা প্রায় ১৮০ একর জমি চাষ করি। এই ফসল কাটার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে, এটাও সমস্যাযুক্ত।

তিনি আরও মত দিয়ে বলেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি শিল্প বাঁচাতে এবং জাতীয় সংকট এড়াতে কৃষকদের অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রুয়ান অবেনায়কা নামের আরেক ইউনিয়নবাদী জানিয়েছেন, এই সংকট চা, নারকেল এবং রাবার সহ সমস্ত ফসলকে প্রভাবিত করেছে। কর্তৃপক্ষকে এর দায় নিতে হবে। তারা ফসলের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এখন সেই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে হবে।

 নিশান্ত বিক্রমাসিংহে নামের আরেক ইউনিয়নবাদীর কণ্ঠেও প্রতিবাদের সুর, আমরা ভাতা চাই না। ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের ক্ষতিপূরণ চাই। এটা না হলে কৃষকরা আগামী মৌসুমে তাদের চাষাবাদ ছেড়ে দেবে। তখন বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে। কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।“

 

Comments are closed.