সন্তানদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার নতুন উপায় খুঁজছে মঙ্গোলিয়ার জনগণ

১৭৮

কোভিড ১৯ মহামারী জীবনের সমস্ত দিককে প্রভাবিত করেছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভার পড়েছে শিক্ষাখাতে। বিশেষ করে শিশুরা যারা প্রায় দুই বছর ধরে শ্রেণীকক্ষের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং অনলাইনে পড়াশোনা শুরু করেছে। সংবাদ সূত্র: A24 News Agency

আগে শিক্ষার্থীদের শীতকালীন ছুটি প্রায় এক মাস চললেও এ বছর তারা করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাসের ছুটি পেয়েছে। তবে ছুটির সময় অভিভাবকরে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন, বিশেষ করে যেহেতু বেশিরভাগ শিশু স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। অভিভাবক টি এস. গালসানজাগা জানান, ”আমারে তিন সন্তান আছে।

তাদের মধ্যে দু’জন স্কুলে এবং একজন কিন্ডারগার্টেনে যায়। যেহেতু তারে শীতের ছুটি শুরু হয়েছে, আমার বাচ্চারা বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছে। আমরা অভিভাবকরা যখন বাড়িতে বাকি তখন আমরা একসাে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করি। অন্য সময় তারা যখন বাড়িতে থাকে তখন তাদের তার সাথে থাকে। সেই সময়ে শিশুরা প্রচুর ফোন এবং টিভি দেখে। সাধারণভাবে, তাদের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার বাড়ছে।”

জি. এরদেনেবলোর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ”স্কুল ছুটি শুরু হয়েছে। ছুটির সময় আমি সকালে উঠি, আমার হাত এবং মুখ ধুয়ে নাস্তা করি এবং আমার বাড়ির কাজ করি। এরপর আমি বাইরে যাই এবং কিছু তাজা বাতাস পাই। তারপর বাসায় এসে ফোন আর টিভি দেখি।”

অভিভাবকরা এমন একটি সমস্যার সামনে রয়েছে যার প্রতি বিশেষজ্ঞদের ্রুত মনোনিবেশ করতে হবে এবং সমাধান বের করতে হবে। শিক্ষার্থীরে ছুটির সময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি থেকে দুরে রাখার জন্য শিক্ষার্থীরে অন্যদিকে সক্রিয় করতে নতুন উপায় সন্ধান করতে হবে। আরেকজন অভিভাবক আলতানসেতসেগ অবশ্য তার সন্তানকে এসব থেকে দুরে রাখতে পেরেছেন, ”আমার মেয়ে রাজধানীর ৩৫তম স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।

গত সপ্তাহে স্কুলের শীতকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। ছুটির দিনে শিক্ষক হোমওয়ার্ক নে। যখন অনলাইন ক্লাসের কথা বললে, আমার মেয়ে তার বাড়ির কাজ নিজে করতে পারে। কিন্তু যখনই সে দিনের বেলা বাড়িতে একা থাকে, তখন সে নিজেই তার বাড়ির কাজ করতে অভ্যস্ত।”

Comments are closed.