সমাবেশ চলছে, অন্য রুটের বাস হঠাৎ নয়াপল্টনে

0 ২৬১

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: মতিঝিল-দৈনিক বাংলা হয়ে পল্টন মোড় হয়ে যেসব বাস চলাচল করতো সেসব বাসকে হঠাৎ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছে বিএনপি। পুলিশি অনুমতি উপেক্ষা করে ভারতের সঙ্গে চুক্তি বিরোধিতা করায় বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ, ভারতের সাথে চুক্তি বাতিল এবং কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত এই সমাবেশ চলছে।

পুলিশি অনুমতি ছাড়াই শনিবার (১২ অক্টোবর) সমাবেশ শুরু হলে এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের জন্য সড়কে ফাঁকা রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। যেখান দিয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করতে শুরু করে।

কিন্তু সমাবেশের এক পর্যায়ে হঠাৎ রাস্তা প‌রিবর্তন ক‌রে বিএন‌পির সমা‌বে‌শের ম‌ধ্যে দি‌য়ে মতিঝিল-দৈনিক বাংলা-পল্টন মোড় হয়ে শাহবাগমুখি বাস বিকল্প অ‌টো সা‌র্ভিস, গাবতলী মি‌নি সা‌র্ভিস (৮ নম্বর),‌ বিহঙ্গ প‌রিবহন, রাইদা প‌রিবহন নিউ‌ ভিশন।

এসব বাসগুলো যাত্রাবা‌ড়ি থে‌কে ম‌তি‌ঝিল হ‌য়ে প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে দি‌য়ে মিরপুর পর্যন্ত চলাচল কর‌তো। গাবতলী মি‌নি ৮ নং বাস প্রেসক্লা‌বে রোড হ‌য়ে গাবতলী যেতো এবং রায়দা চলাচল কর‌তো হা‌নিফ ফ্লাইওভার দি‌য়ে কমলাপুর রামপুরা হ‌য়ে কিন্তু এসব বাস বিএন‌পির সমা‌বেশেল মধ্য দিয়ে চলাচল কর‌ছে।

শুরুতেই সমাবেশস্থল ঘিরে ব্যারিকেড দিলেও পরে নেতাকর্মীদের চাপে কিছুটা সরে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবেও সমাবেশের আশপাশেও অবস্থান করছেন বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে সাঁজোয়া যান এবং জলকামানবাহী গাড়ি। নয়াপল্টনের আশপাশেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ নয়াল্টনমুখি সবগুলো রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছেন। ছোট ছোট মিছিলগুলোকে সেদিকে ঢুকতে দিচ্ছে না। তবে বড় বড় মিছিল মিছিলগুলো পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। বিশেষ করে নয়াপল্টনমুখি গলির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

সমাবেশে উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.