সরকার এরশাদের সাথে প্রতারণা করছে : গয়েশ্বর

0 ৮৫৬

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : সরকার আদালতকে ব্যবহার করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুুসাইন মোহাম্মাদ এরশাদের সাথে প্রতারণা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল নামক একটি সংগঠেনর আয়োজনে ‘কলঙ্কিত ৫ই জানুয়ারী’র নির্বাচন এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশে এরশাদ বলেছেন ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না গেলে আমাকে ফাঁসি দেয়া হত। তার এ কথার মধ্য প্রমাণিত হয় সরকার আদালতকে ব্যবহার করে তার সাথে প্রতারণা করছে। তার ২০ বছর আগের মামলার রায় ঝুলিয়ে রেখে তাকে ব্যবহার করছে।

সদ্য শেষ হওয়া নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেসন (নাসিক) নির্বাচন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি নির্বাচনের আগেই বলে ছিলাম সরকার নাসিকে নতুন কৌশল অবলম্বন করবে। সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। নাসিকে ভোট ডাকাতি হয়নি, চুরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে জিজ্ঞাস করলেই পাওয়া যাবে। কারণ তিনি মাঝে মাঝে সত্য কথা বলেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবিলম্বে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারে না, হবে না। ভিনদেশিদের শক্তি নিয়ে যত কথাই বলুন, এদেশে গণতন্ত্রের বসন্ত আসবেই। গণতন্ত্র ছাড়া এ রাষ্ট্র কখনও বেশি দিন চলতে পারেনি।

২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন ছিল বিএনপির শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকে উপহাস করা হয়েছে, যা আমাদের প্রতারক জাতিতে প্রমাণিত করেছে। এই নির্বাচন বর্জন করা ছিল আমাদের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত।

৫ জানুয়ারি বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের এমন বক্তব্যে সমালোচনা করে দুদু বলেন, তিনি (হানিফ) সরাসরি বিএনপিকে হুঁমকি দিয়েছেন। এই হুঁমকি আমরা দিলে ১০টি মামলা হয়ে যেত।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাড.আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো.রহমতউল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, বীর উত্তম শহীদ জিয়া শিক্ষা ও গভেষণা পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.