সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন রাব্বী সুস্থ হয়ে বাঁচতে চায়

0 ১,১২০

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ড সাঁতাহারের আব্দুর বারীকের ছেলে মো: রাব্বী ইসলাম (১৬)। রাব্বী কলসা আহসান উল্লাহ ইনিস্টিটিউশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্র। রাব্বীর বাবা  বারীক পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। ঢাকা থেকে রুমাল, মানিব্যাগ, চিরুনী ইত্যাদি জিনিসপত্র কিনে এনে সান্তাহারে বিক্রি করে সংসার চালান। জায়গা জমি ও অন্যান্য সম্পদ বলতে তার মাথা গোজার ঠাই বাড়ি আর এই একমাত্র সন্তানটা ছাড়া কিছুই নেই। রাব্বী তার বাবার একমাত্র সন্তান। তাই তাকে নিয়ে তার বাবার চোখেমুখে অনেক স্বপ্ন। কিন্তু গত চার বছর ধরে ছেলের অসুস্থতায় বাবা যেন ক্রমশই ভেঙ্গে পরছে। গত চার বছরে খরচ যোগান দিতে গিয়ে নিষ্য প্রায় রাব্বীর বাবা।
২০১৩ সালে হঠাৎ রাব্বীর গালের ডান পার্শ্বে মাংশ বৃদ্ধির সূত্রপাত ঘটে। সেটাকে শুরু থেকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় নি তার পরিবার। কিন্তু যত দিন যায় রাব্বীর অসুস্থতা একটু একটু করে বৃদ্ধি পায়। তারপর ২০১৪ সালের প্রথম দিকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর কিছুদিন স্বাভাবিক থাকলেও তার গালের মাংশ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। অসুস্থতার কারনে সে নিয়মিত আর বিদ্যালয়ে যেতে পারে না ।এদিকে ছেলের অসুস্থতা বৃদ্ধির কথা শুনে বাবার চিন্তার যেন অন্ত নেই । সে থেকে ছেলেকে সুস্থ করার জন্য যেখানে চিকিৎসা নিলে ভালো হবে সখোনেই ছুটছেন। এমনকি ঢাকা মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতাল থেকে শুরু করে হোমিও চিকিৎসাও নিয়েছেন কিন্তু ফলাফল পাননি। গত চার মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে রাব্বী। বর্তমানে বাম গালের নিচের দিকে ও মাথায় অতিরিক্ত মাংশ বৃদ্ধি হওয়ায় দেখতে অনেকটা খারাপ লাগছে । তার নিজের এমন অসুস্থতার কারনে রাব্বী সবার সাথে খুব বেশি কথা বলতে পারছে না । সে তার নিজেস্ব ফেসবুক আইডি থেকে তার ছবি আপলোড  দিয়ে লিখেছে আমি সুস্থ হয়ে সকলের কাছে আবারো ফিরে যেতে চাই।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে সিরাজগন্জ খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য। এবং বলছেন পরিক্ষা নিরিক্ষার পর এমন কি অপারেশনও করতে হতে পারে। কিন্তু অপারেশন করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। এমনিতেই গত ৪ বছরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করতে চারলক্ষাধিক টাকা লেগেছে ।এতে করে আত্মীয় স্বজন ভাই বোন সহ বিভিন্ন জনের কাছে ঋণগ্রস্থ হয়ে পরেছেন তিনি। তার ওপর আরো খরচের কথা শুনে রাব্বীর একমাত্র কর্মক্ষম বাবার যেন কষ্টের শেষ নেই। কি করবে খুজে পাচ্ছেনা যেন কূল কিনারা।
এ ব্যাপারে রাব্বীর চাচাতো ভাই উজ্জলের সাথে কথা বললে তিনি দু:খ ভরাকান্ত মন নিয়ে বলেন, আমার চাচার সহায় সম্বল বলতে তেমন কিছুই নেই মাথাগোজার ঠাই বাড়ি আর এক মাত্র ছেলেটি ছাড়া। তাই আমাদের সমাজের দান শীল মানুষেরা ছেলেটির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে অসলে ছেলেটিকে সম্পূর্ণ ভাবে বাঁচানো সম্ভব হবে। তাই অষ্টম শ্রেণীর এই মেধাবী ছাত্রকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইলে উল্লেখিত তার বাবার পূবালী ব্যাংক সান্তাহার শাখার এই হিসাব নং ০৩০৫১০১১৪২৪১৪ এবং এই (বিক্যাশ নং-০১৭৫৩-৩২১৪৯৫) এ সাহার্য্য পাঠাতে পারবেন অথবা সরেজমিনে বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের সাাঁতাহার মহল্লায় এসে সাহায্য করতে পারবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.