সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে কামারপল্লী

১৬৭
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সলমান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সিরাজগঞ্জে কামার শিল্পীরা। দম ফেলারও যেন সময় তারা পাচ্ছেন না।টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। দা-ছুরি-বটি বানাতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছে কয়েকশ কামার।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের পৌর এলাকার বাহিরগোলা, সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়া,বনবাড়ীয়া, শিয়ালকোল জমে উঠেছে প্রতিটি কামারশালা। লোহা পুড়িয়ে ধারালো অস্ত্র তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীন।
জানা গেছে, মানভেদে স্প্রিং লোহা ৩০০-৫০০ টাকা, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১৫০-২০০ টাকা, দা ৩০০-৫০০ টাকা, বটি ২০০- ৫০০ টাকা  টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ১৩০০-১৬০০  টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পৌর এলাকার বাহিরগোলা বাজারের কামারশালার মালিক পলাশ কর্মকার জানান, চাপ বেশি থাকায় রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে তাদের। নতুন সরঞ্জামের চাহিদার পাশাপাশি পুরাতনগুলোতে শান দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বছর বেশিরভাগ ক্রেতা পুরাতন সরঞ্জাম মেরামত করতে নিয়ে আসছেন। বিক্রি একটু কম হচ্ছে।
২০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত আছি। আমার পূর্বপুরুষরাও এই কাজ করতেন। এখন সারা বছর তেমন কোনো কাজ থাকে না। তবে কোরবানির ঈদের আগে কাজের চাপ থাকে। খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে না, ঈদের এক-দুই দিন আগে বিক্রি বাড়বে।’
সুকুমার  কর্মকার জানান,আগে বিনামূল্যে কাঠকয়লা পাওয়া যেত, এখন বাড়তি দামেও পর্যাপ্ত কয়লা মিলছে না। আগে কাঠকয়লা প্রতি টিন ৫০ টাকায় কিনতাম ।  বর্তমানে প্রতি টিন   ৭০ থেকে ৮ ০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ কারণে দা-ছুরি-বটির দাম তুলনামূলক বেশি।
পুরাতন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ  জয়নাল শেখ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। ‘পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি পুরাতনগুলোতে শান দিতে নিয়ে এসেছি। ২ শত টাকা দিয়ে চাকু শান দিচ্ছি । অন্য জায়গার চেয়ে এখানে মজুরি অনেক কম।
বাহিরগোলা মহল্লার আমিনুল ইসলাম জানান, পবিত্র  ঈদুল আজহা  উপলক্ষে  আমি একটা নতুন কাটারী বানাতে দিয়েছি। সেটার মজুরি নেবে ১০০০ টাকা।সবচেয়ে  ভালো তৈরি  করে বলে এখানে দিয়েছি। সুকুমার এবং তার  ভাই  সিরাজগঞ্জ শহরে মধ্যে  ভালো কাজ করে।

Comments are closed.