সোনাদিঘীর উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যবর্ধন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র লিটন

0 ২৮৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘী নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে। সোনাদিঘীকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যবর্ধন কাজ চলমান রয়েছে। বুধবার দুপুরে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

 

সোনাদিঘীর হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদিঘীকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।

 

সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী ৫ বছর কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদিঘীকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

 

ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদিঘীকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সোনাদিঘী মসজিদকে সিটি সেন্টারের স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপর সোনাদির্ঘি মার্কেট ভেঙে সোনাদিঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

 

এখন চলছে সোনাদিঘির উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যবর্ধন কাজ। সোনাদিঘিপাড়ে নির্মিত সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদিঘী হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদিঘীকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার পুরো চিত্রই পাল্টে যাবে।

 

দর্শনার্থীদের পাশাপাশি পুরো বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরাও এর সুফল ভোগ করবেন। এই দিঘীর চারপাশে পর্যাপ্ত বসার জায়গা রাখা হবে। পরিবার নিয়ে মানুষ সেখানে বসবে। উপভোগ করবে স্বচ্ছ পানির জলাধার। রাতে আলোকায়ন থাকবে। থাকবে ফোয়ারা। সংস্কার শেষ হলে তিন দিক থেকে সোনাদিঘীকে দেখা যাবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.