হাঁটুপানিতে নেমে ত্রাণ দিচ্ছেন তাশরীফ, সঙ্গে সেনাবাহিনী

১৮৭

পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট ও মৌলভীবাজারের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে পর্যাপ্ত সহযোগিতা দিতে পারছে না প্রশাসনও। ইতোমধ্যেই উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে সেখানকার মানুষজন। ক্রমশ অবনতি ঘটছে পরিস্থিতির। এরইমধ্যে বাংলাদেশের নামকরা সেলিব্রিটিরা এগিয়ে আসছেন যে যার মতো করে। এ অবস্থায় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের জনপ্রিয় তরুণ সংগীতশিল্পী তাশরীফ খান। যদিও ইতোমধ্যেই ত্রাণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে সেখানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

তবে কথা রেখেছেন তাশরীফ খান। নিজে উদ্যোগ নিয়ে ১৬ লাখ টাকা জোগাড় করে বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দিতে দ্রুত পৌঁছে যান সিলেটে। এরপর তিনি সেই সব জায়গায় নানান ধরনের ত্রাণসামগ্রী দেওয়া শুরু করেন। তার এই কাজকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া মেলে। ব্যাপারটি নজরে আসে সেনাবাহিনীর। এবার সঙ্গে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে তাশরীফের টিম ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছেন।

ভারী কোন খাবার নয় আপাতত বানভাসিদের শুকনো খাবার মুড়ি, বিশুদ্ধ পানি, গুড়, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধকরণ ফিটকিরিসহ অন্যান্য জরুরি খাবার ও সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

সোমবার (২০ জুন) থেকে তাশরীফকে এসব ত্রাণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সহায়তা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সেখানে তার সঙ্গে অবস্থান করা তাশরীফ স্কোয়াডের সদস্যদেরও সেনাবাহিনী সদস্যরাও নানানভাবে সহায়তা করছে বলে জানান তাশরীফ।

সকালে নিজের ফেসবুকে তিনি এ প্রসঙ্গ নিয়ে লেখেন, ‘আজ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাপোর্ট পাচ্ছি আমরা। আমরা কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি।’ এরপর সেনাবাহিনীর সঙ্গে ত্রাণ গাড়িতে তোলার কাজ করছেন এমন ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে একটি ভিডিওতে দেখা যায় হাঁটু পানিতে নেমে তাশরীফ ত্রান নিয়ে যাচ্ছেন বন্যার্ত মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে। সেই ভিডিও ক্যাপশনে লেখেন, ‘এই পানি কি আর পেটের খুদা মানে? আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেসি।’

ভিডিওতে দেখা যায় সেনাবাহিনী ও তাশরীফের টিম মিলেমিশে কাজ করছেন। আর এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন সেখানকার মানুষ। ত্রান বিতরণে শুধু সেনাবাহিনী নয়, রয়েছে তিন বাহিনীর সদস্যরা। তারা সবাই মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে কোনো মানুষ বিপদে না পড়ে, না খেয়ে থাকে।

Comments are closed.