হুমকি দিয়ে অহেতুক উত্তেজনা না বাড়াতে ন্যাটোকে চীনের আহ্বান

0 ১৬৭

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা নিয়ে চীনকে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন।

বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানায়, বেইজিংয়ের শান্তিপূর্ণ অগ্রগতিকে অপবাদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। এর আগে ন্যাটো নেতারা চীনের সামরিক হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে বেইজিংয়ের আচরণকে একটি ‘সিস্টেমিক চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

এবারই প্রথম ন্যাটো সম্মেলনে চীনকে তার এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিল। এদিকে বেইজিংকে হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অহেতুক উত্তেজনা না বাড়াতে ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।

 

এক প্রতিক্রিয়ায় চীন জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা নীতি ‘স্বভাবতই প্রতিরক্ষামূলক’ এবং ন্যাটোকে ‘সংলাপের জন্য তার আরও বেশি শক্তি ব্যয় করতে’ তাগিদ দিয়েছে।

 

এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনা মিশন জানিয়েছে, বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা ও সামরিক আধুনিকায়নের বিষয়টি পুরোপুরি ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, চীনের প্রতিরক্ষানীতি স্বচ্ছ ও উন্মুক্ত।

 

বিবৃতিতে চীন আরও জানিয়েছে, ন্যাটোর উচিত বেইজিংয়ের সার্বিক উন্নয়নকে যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করা। একই সঙ্গে চীনের সার্বিক উন্নয়নে ন্যাটোকে ঈর্ষান্বিত না হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

 

এদিকে বিশ্বজুড়ে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ। ন্যাটো প্রধান বলেন, চীনের বিরুদ্ধে ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী নীতি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

কানাডার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, চীনের সামরিক খাতের বাজেট বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটির নৌবাহিনী বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী। চীন ধীরে ধীরে সামরিক খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, যা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ‘নিরাপত্তার জন্য হুমকি’।

 

স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘চীন আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে না। আমরা দেখেছি, কীভাবে হংকংয়ে গণতান্ত্রিক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, পশ্চিম চীনে তারা কীভাবে উইঘুরদের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চালায়, পাশাপাশি তারা কীভাবে তাদের জনসংখ্যা পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, এমনভাবে আমরা আগে কখনও দেখিনি।’

 

সুতরাং যখন চীনের প্রসঙ্গ আসে, এগুলোর কারণেই ন্যাটোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে একটি নীতি প্রণয়ন করা, নীতি আরও শক্তিশালী করা, যোগ করেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.