
এর আগে ফিতা কেটে এই টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক। এসময় পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দোকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শাহিনুজ্জামান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মুশফিকুর রহমান, বাগেরহাট বিএমএ-র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোশাররফ হোসেনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

টিকা গ্রহন শেষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক বলেন, আপনারা জানেন সারা দেশে এক সাথে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। আমরা বাগেরহাট জেলায়ও টিকা কার্যক্রমের উদ্বোন করেছি। টিকা গ্রহন শেষে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ্য রয়েছি। কোন প্রকার শারীরিক সমস্যা হয়নি। আমি বাগেরহাটবাসীকে অনুরোধ করব রেজিষ্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন গ্রহন করুণ।
টিকা গ্রহন শেষে গনমাধ্যমকর্মী আলী আকবর টুটুল বলেন, একজন গনমাধ্যমকর্মী হিসেবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পেশাগত কাজে মাঠে ছিলাম। এখনও আছি। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আমি শনিবার বিকেলে নিবন্ধন করেছি। রাতে ম্যাসেজ পেয়েছি, সকালে সদর হাসপাতালে গিয়ে টিকা গ্রহন করেছি।আমি সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছি, কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত নেই।
বাগেরহাটের প্রথম নারী হিসেবে টিকা গ্রহন করেন বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য আফরোজা খানম।তিনি বলেন, আমি প্রস্তুতি নিয়ে চেয়ারে বসলাম। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেবিকাগণ আমাকে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ করলেন। আমি টের-ই পাইনি যে আমাকে টিকা দেওয়া হয়েছে।অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় যে আমরা টিকা পেয়েছি, এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। সকল নারীদেরকে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করে সময়মত টিকা গ্রহন করার আহবান জানান তিনি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। আমি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়সহ জেলার উর্দ্ধোতন কর্মকর্তারা টিকা গ্রহন করেছি। সবার উচিত নির্দিষ্ট নিয়মে নিবন্ধন করে টিকা গ্রহন করা। প্রতিদিন ৮টি উপজেলায় ২‘শ করে, পুলিশ হাসপাতালে ১‘শ, বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৬‘শ করে টিকা দেওয়া হবে।এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। বাগেরহাট জেলায় প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা এসেছে।