রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে মতবিনিময় সভা অনুুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় রাসিক মেয়র বলেন, মহামারি করোনার বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে রাজশাহী মহানগরীর সকল উন্নয়ন কাজ নব উদ্যোমে শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সরকার সকল বড় বড় প্রকল্পগুলোর কাজ অব্যাহত রেখেছিল। রাজশাহীতেও করোনার মধ্যেও আমরা উন্নয়ন কাজ চলমান রাখি। পরিচ্ছন্নতা, বায়ু দুষণ রোধ, ইপিআই স্বাস্থ্য সেবা, জন্ম নিবন্ধনসহ সকল ক্ষেত্রে রাজশাহী আজ এগিয়ে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য তা ধরে রাখতে চাই।
তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে বিরামহীন বর্ষায় কিছু কিছু কাজে বিলম্ব হয়। সকল পরিস্থিতি উত্তরণ ঘটিয়ে রাজশাহী মহানগরীর চলমান সকল উন্নয়ন কাজে আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। কাজের মান উন্নয়ন অক্ষুন্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে। এ লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক হতে রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আরও একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক ও নর্দমাসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। সিটি বাইপাস রোড ফোরলেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ হয়েছে। বন্ধগেট হতে সিটি বাইপাশ রাস্তাটি ফোরলেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েছে। কল্পনা থেকে তালাইমারী পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজ চলমান চলছে।
কল্পনা থেকে কোর্ট পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ভূবন মোহন পার্কের উন্নয়ন, সোনাদিঘী উন্নয়ন, লালন শাহ পার্ক উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধু ম্যূরাল নির্মাণ, এ্যানেক্স ভবনের উন্নয়ন, জলাশয় সংরক্ষণ, শেখ রাসেল শিশু পার্কের উন্নয়ন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণসহ ভূমি উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। এ্যাসফাল্ট প্লান্টের উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় বিষয়ে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নিরসল প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন লাভ করে।
ইতোমধ্যে প্রকল্পটির আওতায় ৯০১ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আরো উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন আছে। মাননীয় মেয়র মহোদয়ের স্বপ্নের আধুনিক, উন্নত, বাসযোগ্য ও স্মার্ট রাজশাহী মহানগরী গড়তে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সকল প্রকৌশলীকে আরও দায়িত্বশীল হবার অনুরোধ জানান তিনি।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রজেক্ট এডভাইজার মোঃ আশরাফুল হক, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট গোলাম মুর্শেদ প্রমুখ। সভায় প্রকৌশল বিভাগের সহকারী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ অংশ নিয়ে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন।
Comments are closed.