নিয়ামতপুরে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

২৭২
নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা করেছে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ জুন) সকালে দেলোয়ার হোসেন (৩০) উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঘুলকুড়ি গ্রামের জিয়ার মন্ডলের ছোট ছেলে। দেলোয়ার হোসেন ও স্ত্রীর মধ্যে শনিবার সকাল ৬ টার দিকে সকালের খাবার নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। খাবার রান্না করতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীর ওপর রাগে করে নিজ ঘরে ঢুকে চুপচাপ থাকায় একঘন্টা পর দেলোয়ারের স্ত্রী কমলা (২৭) তাকে ডাকতে গেলে দেখে তার স্বামী সিলিং ফ্যানের সাথে লাল রংয়ের গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। কমলা ডাকচিৎকারে স্হানীয়রা এসে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে রেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
দেলোয়ারের বড় ভাই আব্দুল জব্বার সাংবাদিকে বলেন, আমার ছেট ভাই ও আমার আলাদা সংসার। সকালে আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। পরে খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি আমার ছোট ভাই আর নেই। সকালে তার স্ত্রীর সাথে খাবার রান্না নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। গত তিন মাস আগে বাবার সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ হওয়ায় ছোট ভাই দুঃচিন্তায় ছিল।
দেলোয়ারের স্ত্রী কমলা বলেন, সকালে রাজমিস্ত্রীর কাজে যাবে বলে খাবার রান্না করতে বলে। খাবার রান্না করতে একটু দেরি হওয়ায় রাগ করে ঘরে প্রবেশ করে। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করতেই দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে। আমার চিল্লাচিল্লিতে পাড়া প্রতিবেশীরা এসে নামায় তাকে। খাবার রান্না নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা আমি চিন্তায় করতে পারি নি। আমাদের দুই সন্তান রয়েছে মেয়ে শারমিনের বয়স (১৪) এবং ছেলে মাহমুদের বয়স (৭) বছর।
নিয়ামতপুর(থানা) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন,  মৃত দেলোয়ার বড়ভাই আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহটি নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Comments are closed.