চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে পুলিশের নজরদারীতে কঠোর লকডাউন হলেও, মফস্বলে দায়সারা

0 ১৭৩

ফয়সাল আজম অপু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে প্রথম দিনের কঠোর লকডাউন চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বুধবার সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে, লোকসমাগম নেই বললেই চলে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া সকল মার্কেট ও দোকান বন্ধ রয়েছে। জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করছে না।

 

তবে সীমিত আকারে রিকসা ও অটোরিকসা চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরের বিশ্বরোড মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারের কাগজপত্র না থাকা, এবং মুভমেন্ট পাস না থাকায় মামলা করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। তবে নিত্য পণ্য বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করছে।

 

লকডাউন কার্যকরে জেলার বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের উপস্থিতিতে লক্ষ করা যায়। তবে আজকেও ঢাকা হতে নিম্ন আয়ের মানুষকে জেলায় আসতে দেখা দেখে। তারা বিভিন্ন ট্রাকে করে উচ্চ ভাড়ায় নিজ জেলায় ফিরছে। তবে মফস্বলে গ্রামের চিত্র ভিন্ন। গ্রামাঞ্চলে প্রয়োজন ছাড়াই লোকজন বাড়ির বাইরে যাচ্ছে এবং মাস্ক ব্যবহারে তাদের ব্যাপক অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। মানুষকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে মফস্বল এলাকায়। এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় সারা দেশের ন্যায় কঠোর লকডাউন চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বৃহস্পতিবার লকডাউনের ২য় দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারসহ মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে।

 

এছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। সকল মার্কেটসহ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচা বাজারে বেচাকেনা চলছে। পণ্যবাহি ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানী-রপ্তানী স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা থাকায় অনেক এলাকার রাস্তা জনশুন্য রয়েছে। এরপরও প্রয়োজন ব্যতীত অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।

 

অন্যদিকে লকডাউনের অজুহাতের পাশাপাশি রমজানের শুরুতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কাঁচা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে মফস্বল এলাকার বাজারগুলো লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভাবে। মফস্বল বাজারগুলোতে হোটেল রেস্তোরার মালিক-কর্মচারীরা কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, পরছেন না মাক্সও। মফস্বল এলাকায় লকডাউনে ২য় দিনেও একইভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাদ্যদ্রব্যের দোকান ছাড়াও প্রায় সকল দোকান-পাট খোলা দেখা গেছে। মফস্বল এলাকাগুলোতে প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.