সাপাহারে রং-তুলির আঁচড়ে সেজেছে দুর্গা দেবী

৯৪

মনিরুল ইসলাম,সাপাহার(নওগাঁ) প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে নওগাঁর সাপাহারে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। সামনে শনিবার থেকে মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরগুলোতে রং-তুলির আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে প্রতিমাগুলো।চারিদিকে ধুম পড়েছে দুগোৎসবকে সামনে রেখে। এ যেন দুর্গোৎসবের আগেই মহোৎসবের আমেজ!

চলতি বছরে এই উপজেলায় মোট ১৯টি মন্দিরে উদযাপন হতে চলেছে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রায় প্রতিটি মন্দিরেই চলছে প্রতিমা তৈরীর উৎসব। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন মৃৎশিল্পীরা। মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরী করছেন মা দূর্গার প্রতিমা। দূর্গোৎসব অন্যান্য বছরে মতো এই বছরেও আনন্দ মুখর পরিবেশে পালিত হবে বলছেন সনাতন ধর্মবলম্বীরা।

সরেজমিনে উপজেলার পালপাড়া, সাহাপাড়া, মানিকুড়া, তিলনা মন্দিরগুলো ঘুরে জানা যায়, এবছরে অনেক আগাম প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন মন্দির কমিটির সদস্যরা। বর্তমান সময়ে তেমন কারিগর সংকট না থাকলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিমা তৈরী করে নিচ্ছেন মন্দির কমিটির সদস্যরা। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু প্রতিমার রঙের কাজ পর্যন্ত হয়ে গেছে।

মৃৎশিল্পীদে কৈলাস ও গয়ার সাথে কথা হলে তারা জানান, বিভিন্ন জায়গায় রেডিমেড দূর্গা প্রতিমা বিক্রয় হয়। কিন্তু এদিক থেকে সাপাহার উপজেলা একদম ব্যতিক্রম। এই অঞ্চলে প্রতিটি মন্দিরেই প্রতিমা বানানো হয়। এবছরে বিভিন্ন স্থানে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ পেয়েছেন বলেও জানান তারা। এছাড়াও অনেকে চাহিদা অনুযায়ী এসব প্রতিমার তৈরীর অর্ডার দেন।

মানিকুড়া কবিরাজ পাড়া পূজা উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ নিশিকান্ত দেবনাথ বলেন, প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ । এই মূহুর্তে রঙের কাজ চলছে। তবে অন্যান্য বছরে যেভাবে কারিগর সংকটে ভুগতে হতো এই বছরে তা নেই। যার ফলে অনেকটা দ্রুত প্রতিমা তৈরীর কাজ হয়ে গেছে এবং হচ্ছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোপাল মন্ডল বলেন, বর্তমানে সাপাহার উপজেলায় ১৯টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপন হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরে অনেকটা নতুনত্ব এসেছে। তাছাড়া গত বছরের চেয়ে এই বছর ২টি মন্দির বেড়েছে এই উপজেলায় এটা বেশ আনন্দদায়ক।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, আইন শৃঙ্খলার দিক থেকে আমরা সোচ্চার রয়েছি। পূজা শুরুর আগ থেকেই আমি আনসার, গ্রামপুলিশ সহ পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করছি যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছরে এই উপজেলায় মোট ১৯টি মন্দিরে দুর্গা পূজা উদযাপন হবে। প্রতিমা তৈরীর কাজ কোন কোন মন্দিরে শেষ প্রায়। রঙের কাজ প্রায় শেষের পথে। শনিবার থেকে ষষ্ঠীর মাধ্যমে পূজা শুরু হবে। এছাড়াও প্রশাসনিক দিক থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা অব্যহত রয়েছে।

Comments are closed.