বর্ষসেরা এই একাদশে পেস বোলার রাখা হয়েছে চারজন। সবাই নিয়মিত পেসার। কোন পেস অলরাউন্ডার রাখা হয়নি একাদশে। এছাড়া একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনজন উইকেটরক্ষক। তারা হলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, জস বাটলার এবং এসএস ধোনি। তবে কিপিং গ্লাভস থাকবে ধোনির হাতেই।
উইজডেনের বিচারে ওয়ানডে ক্রিকেটের দশক সেরা ২৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন রোহিত শর্মা। ধোনির নেতৃত্বে ওপেনিংয়ে এসে ৫৩ গড়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছেন তিনি। অন্য ওপেনার ওয়ার্নারকে বেছে নেওয়া হয়েছে তার দারুণ গড়ের সঙ্গে স্ট্রাইক রেটের কারণে। বিচারকদের চোখে আমলার চেয়ে তাই এগিয়ে ওয়ার্নার।ব্রেকিংনিউজ
উইজডেনের বিচারে বিরাট কোহলির নাম থাকা ছিল অবধারিত। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮২ সেঞ্চুরিতে ১১ হাজার রান। গড় চোখ ধাঁধাঁনো ৬২! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ৮৬ বলে ১৩৩ রানের ইনিংস উইজডেনের পঞ্চম দশক সেরা ইনিংস। পক্ষপাতিত্বহীন একাদশ গড়লে কোহলির মতো ভিলিয়ার্সকে নিয়েও থাকে না কোন প্রশ্ন। কোহলির থেকে বেশি গড় এবং স্ট্রাইকরেটে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন তিনি।
বাটলারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ইংলিশ ব্যাটিংয়ের বিপ্লব। ধোনি একাদশে জায়গা পেয়েছেন ১০৩ গড়ে তার সফল রান তাড়ার জন্য। ধোনি অপরাজিত থেকেছেন কিন্তু দলকে জেতাতে পারেনি এমন ঘটনা ঘটেছে মাত্র চারবার। এছাড়া এই দশ বছরে তার গ্লাভসের কাজ অসাধারণ ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সাকিবকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে দলের সব সমস্যার সমাধান দাতা হিসেবে। শুরুর ২০ রানে উইকেট পড়লে বিরাটের মতো কার্যকরী সাকিব। স্পিনের সমাধান। বাটলার-ধোনি দু’জনই একাদশে থাকলে অতিরিক্ত একজন বোলার সাকিব। সঙ্গে এই দশকে স্পিনে নিয়েছেন সবচেয়ে বেশি উইকেট।
উইজডেনের দশক সেরা একাদশ:
রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, জস বাটলার, এমএস ধোনি, সাকিব আল হাসান, লাসিথ মালিঙ্গা, মিশেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট, ডেল স্টেইন।